এদিকে হইহই শুনে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। তাঁরাই মনসা ও সুনীলকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যান।

পঞ্চায়েতের কাজ সেরে ফেরার পথে আক্রান্ত গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান। একদল মদ্যপ যুবক পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে ধরে মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই প্রধান জানান, তাঁর এলাকাতেই থাকেন অভিযুক্তরা। নানা দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আচমকা কেন তাঁকে মারধর করা হল, তা বুঝতে পারছেন না বলেই দাবি অভিযোগকারীর। গলসি-১ ব্লকের উচ্চগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।

উচ্চগ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান মনসা বাউরি। মনসার অভিযোগ, তাঁকে ও তাঁর ভাই সুনীল বাউরিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ একজন যুবক মদ্যপ অবস্থায় মারধর করেন। ভাই সুনীলের টোটোয় চেপে পঞ্চায়েত থেকে ফিরছিলেন মনসা। মাঝ পথে টোটো থেকে নামিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। লাঠি, বাঁশ, ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁদের উপর হামলা চলে বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধান মনসার। এমনকী টোটোটিও রাস্তায় উল্টে ফেলে দেওয়া হয়।

এদিকে হইহই শুনে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। তাঁরাই মনসা ও সুনীলকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যান। সেখানে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। মনসা বাউরি বলেন, “শরীরটা ভাল ছিল না। তাই ছোট ভাইকে বলি টোটো নিয়ে আসতে। টোটোয় ফেরার পথেই কিছু দুষ্কৃতী আমার উপর হামলা করে। ওরা সব মদ খেয়ে ছিল। মাঝ রাস্তায় আমাকে বেধড়ক মারে। আমার শার্ট পর্যন্ত ছিড়ে দিয়েছে। এমনকী আমার হাতে থাকা ব্যাগটাও কেড়ে নিয়েছে। সঙ্গে কিছু টাকা ছিল সেসবও ওরা নিয়ে নিয়েছে। ইট, লাঠি নিয়ে আমাকে মারধর করে। ভাইয়েরও আঘাত লেগেছে। একেবারে রাস্তায় ফেলে মারল। কেন মারল সেটাই বুঝতে পারছি না।” থানায় অভিযোগ জানাবেন বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে মনসার ভাই সুনীল বাউরি বলেন, “দাদা অসুস্থ বলে টোটো নিয়ে ওকে পঞ্চায়েতে আনতে যাই। মাঝ রাস্তায় দেখলাম কয়েকজন আমাকে, আমার দাদাকে মারধর শুরু করে। ব্যাগ, টাকা পয়সা ছিনতাই করে নিয়ে পালায়। ওরা রাস্তায় আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল। মনে হচ্ছে সবটাই পরিকল্পনা করে ঘটিয়েছে। কিন্তু কেন আমাদের উপর ওদের রাগ, সেটাই বুঝলাম না।” তবে অভিযুক্ত যুবকরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন বলেই দাবি মনসা বাউরির।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours