Dalai Lama: সম্প্রতিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন দলাই লামাকে তাঁর ৮৭ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন, সেই সময় চিনের তরফে ভারতের সমালোচনা করা হয়েছিল এবং চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ করা হয়েছিল।
ভারত সফরে এসেছেন ধর্মীয় গুরু দলাই লামা (Dalai Lama)। বৃহস্পতিবারই তিনি জম্মুতে এসে পৌঁছন। আজ তিনি লাদাখে যাবেন। ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর মধুর সম্পর্ক হলেও, ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি ভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর এই প্রথম তিনি লাদাখ সফরে যাচ্ছেন। এদিকে, দলাই লামার এই সফর নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্ট চিন। দীর্ঘদিন ধরেই দলাই লামাকে নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চাপান-উতোর চলছে। একাধিকবার দলাই লামার মন্তব্যের সমালোচনা করতেও দেখা গিয়েছে চিনকে। তবে চিনের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করেই, দীর্ঘ সময় বাদে ভারতের মাটিতে পা রেখেই প্রতিবেশী দেশের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন দলাই লামা।

চিনের তিব্বতকে দখল করে নেওয়াকে ঘিরে এর আগে দলাই লামা তীব্র বিরোধিতা করলেও, বৃহস্পতিবার জম্মুতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “তিব্বতের পূর্ণ স্বাধীনতা চাইছেন না, তবে তিব্বতে যে বৌদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে, তার সংরক্ষণ ও চিনের অধীনে থেকেই তিব্বতে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “চিনের সমস্ত বাসিন্দারা নন, তবে কিছু ক্ষমতাবান ব্যক্তি আমায় বিচ্ছিন্নতাবাদী মনে করেন। কিন্তু এখন চিনের আরও নাগরিকরা বুঝতে পারছেন যে দলাই লামা স্বাধীনতা নয়, বরং চিনের অধীনে থেকেই তিব্বতীয় বৌদ্ধিক সংস্কৃতিকে সংরক্ষণের জন্য স্বায়ত্তশাসন চান।”

বৃহস্পতিবার জম্মুতে পৌঁছতেই দলাই লামাকে স্বাগত জানান লাদাখের বাসিন্দারা। আজ তিনি বিমানে করে লেহ-তে যাবেন। সেখানেই এক মাস থাকার কথা তাঁর।

চিনের সঙ্গে টানাপোড়েন-
সম্প্রতিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন দলাই লামাকে তাঁর ৮৭ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন, সেই সময় চিনের তরফে ভারতের সমালোচনা করা হয়েছিল এবং চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তেরও তীব্র বিরোধিতা করেছিল চিন। এর কয়েক মাস বাদেই ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে চিন পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনা বাড়াতে শুরু করে। ভারতীয় সেনার তরফেও সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা হলে,. দুই দেশের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ এবং পরে গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। এই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ান প্রাণ হারান। চিনেরও বহু সংখ্যক জওয়ানের মৃত্যু হয়। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে একাধিক দফায় কূটনৈতিক ও সেনাস্তরে আলোচনা হলেও, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। আগামী সপ্তাহেই দুই দেশের মধ্যে সেনাস্তরীয় আলোচনা হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে দলাই লামার মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের ভারত সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই সফর নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে পারে চিন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours