দোলের দিন সন্ধ্যায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলো বসিরহাট রেলস্টেশনে। একদল যুবকের তাণ্ডবের শিকার হলেন চারজন রেল পুলিশ। ডিউটিরত অবস্থায় হঠাত্‍ই আরপিএফের ২ কনস্টেবলের ওপর চড়াও হয় ৫-৬ জন যুবক। তাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর সেখান এসে উপস্থিত হন বসিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের আরপিএফের ওসি।তিনি আহত হন এই ঘটনায়। তারপর তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। যদিও অভিযুক্ত যুবকদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যায় বসিরহাট রেলস্টেশন স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে ডিউটিতে ছিলেন আরপিএফ এর দুজন কনস্টেবল। সেই সময় সেখানে এসে উপস্থিত হয় কয়েকজন যুবক। তাদের মুখে রং থাকায় চেনা সম্ভব হয়নি। সেই পাঁচ-ছয়জন যুবকের দল ওই দুই কনস্টেবলকে বাঁশ এবং লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু। এই ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের দপ্তর থেকে বেরিয়ে এসে রেলস্টেশনে উপস্থিত হন আরপিএফ এর ওসি বিনয় রায়। কিন্তু লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যায় তারও। পরে আরও এক কনস্টেবলের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে বলে জানা যায়।

পরিস্থিতি বেগতিক হতেই সেখানে আরপিএফ এবং বসিরহাট জিআরপির একাধিক পুলিশকর্মীরা এসে উপস্থিত হন। কিন্তু তার আগেই ওই যুবকের দল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তারপর আহত ওই চারজন পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ‌। দুজন কনস্টেবলকে প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও মাথায় গুরুতর চোট পান কনস্টেবল নাম প্রতাপ পাটেল এবং বসিরহাট রেলস্টেশনের আরপিএফ এর ওসি বিনয় রায়। আপাতত তাঁরা বসিরহাট জেলা হাসপাতালেই চিকিত্‍সাধীন রয়েছেন।

আচমকা পুলিশ কর্মীদের উপর এমন হামলা কিসের জন্য তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছেন তাঁরাও। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে তা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। এইভাবে পুলিশের ওপর যদি হামলা হয় তাহলে যাত্রী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে। ইতিমধ্যে আরপিএফ এর বারাসাত শিয়ালদা ডিভিশনের আরপিএফ আধিকারিকরা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা যায়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours