লক্ষ্যা গার্লস হাই (উ: মা:) স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া, স্কুল ছাত্রী সুমিত্রা জানা (১৪) কে বাল্য বিবাহের হাত থেকে উদ্ধার করল মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন (East Medinipur News)। সরস্বতী পুজোর দিন সকালে সুমিত্রা স্কুলে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজ খবর পড়ে। সুমিত্রার বাবা-মা অস্থির হয়ে ওঠে মেয়ে বাড়ি না ফেরায়। তারা সুমিত্রার বিভিন্ন বান্ধবীদের কাছে খোঁজ খবর নিতে থাকে। কিন্তু রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না আসায়, সুমিত্রার বাবা হারাধন ও মা সরস্বতী জানা বাধ্য হয়ে মহিষাদল থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করে।

মিসিং ডায়েরির ভিত্তিতে তদন্তে নামে মহিষাদল থানার পুলিশ। তদন্তকারী অফিসার কালী শঙ্কর বেরা তদন্তে নেমে জানতে পারে, কালিকা কুন্ডু গ্রামের একটি ছেলের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক সুমিত্রার (East Medinipur News)। সেই ছেলেটি বিয়ে করার উদ্দেশ্যে সুমিত্রাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীটির বয়স মাত্র ১৪ বছর। তার বিবাহের বয়স আইনগত দিক থেকে হয় নি । এই মর্মে একটি চাইল্ড ম্যারেজ কেস মহিষাদল থানায় শুরু হয়। প্রথমে ছেলেটির বাবাকে গ্রেফতার করে মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন। তার বাবার মুখ থেকে জানতে পারে ছেলেটি তার মামার বাড়ি পাঁশকুড়াতে ঐ ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ছাত্রীটিকে ছেলেটির মামার বাড়ি, পাঁশকুড়া থেকে উদ্ধার করে মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন। হলদিয়া কোর্টে তোলা হয়। হলদিয়া ACJM কোর্টের বিচারপতি নবম শ্রেণির ছাত্রীকে হোমে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন (East Medinipur News)। মহিষাদল থানার তদন্তকারী অফিসার গতকাল নন্দকুমার থানার অন্তর্গত বরগোদা C.W.C নিবেদিতা হোমে ছাত্রীটিকে পৌঁছে দেন।

ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অনেক ছাত্রীরা ড্রপ আউট হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ ছাত্রীরা তাদের বিবাহের বয়স না হওয়া সত্ত্বেও, তারা বিয়ে করে ফেলেছে নানা কারণে। তিনি আরও জানান, লক্ষ্যা গার্লস হাইস্কুলের (উ: মা:) নবম শ্রেণিতে ৪ জন, দশম শ্রেণিতে ২৭ জন, একাদশ শ্রেণিতে ৯৫ জন ছাত্রী ড্রপ আউট। এছাড়াও অন্যান্য স্কুল থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় প্রায় প্রতিটি স্কুলে ড্রপ আউট এর সংখ্যা বেড়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours