বাড়িতে রান্না করা মাংস খেয়ে একই পরিবারের দুটি বাচ্চার রহস্যমৃত্যু! বর্ধমানের রথতলার এই ঘটনায় জানা গেছে, খাবারে বিষক্রিয়ার ফলেই এমন কাণ্ড বলে অনুমান করেছেন চিকিত্সকরা। পরিবারের বাকি সদস্যরাও আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে।স্থানীয় সূত্রের খবর, ১২ বছরের শুভঙ্কর ঘোষ ও ৯ বছরের রাহুল ঘোষ, দুই ভাই হয়। তাদের বাবা রবি ঘোষ, দিদি শর্মিলা ঘোষ, ঠাকুমা সন্ধ্যা ঘোষ এবং পিসি শর্মিষ্ঠা ঘোষও হাসপাতালে ভর্তি পেটে প্রবল সংক্রমণ নিয়ে। বাবা রবি ঘোষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে মাংস কিনে এনেছিলেন তাঁর মেয়ের স্বামী অর্থাত্ জামাই। তার পরে সেই মাংস রান্না করে খাওয়া হয়েছিল রাতে। তার পরেই সকলের পেটে অস্বস্তি শুরু হয়, বাড়ির সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন যাঁরা মাংস খেয়েছেন। পরের দিন, বুধবার তাঁরা সকলেই স্থানীয় ডাক্তারের কাছে চিকিত্সাও করান। ওষুধ খেয়ে একটু ভাল বোধ করেন। তিনি কাজেও যান। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয় বাড়াবাড়ি। তখন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় সকলকেই। কিন্তু তাঁর দুই ছেলেকে বাঁচানো যায়নি, তারা মারা যায়। মনে করা হচ্ছে, বাড়িতে ইঁদুর মারার যে বিষ ছড়ানো হয়েছিল, সেই বিষই কোনওভাবে খাবারে মিশে যাওয়ায় এত বড় বিপত্তি। প্রথমে ওষুধ খেয়ে একটু ঠিক হলেও বুধবার মাঝরাত থেকে সকলেরই বমি আরম্ভ হয়ে যায়। বর্ধমান হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট এবং ভাইস প্রিন্সিপাল ডক্টর তপন ঘোষ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ একটি পরিবারের ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয় শ্বাসকষ্ট, পেটে যন্ত্রণা এবং বমি নিয়ে। তার মধ্যে দুটি বাচ্চা ছিল। তখনই বাচ্চাদুটির অবস্থা গুরুতর ছিল। তারা চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছিল না। ভয়ানক ফুড পয়জন হয়েছিল তাদের। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে মারা যায় তারা। বাচ্চাদুটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে জানা যাবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours