কুলটিতে (Kulti) বরখাস্ত ইসিএল (ECL) কর্মীকে গুলি করে খুন। খুনের কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল ১০টা নাগাদ এলাকায় কয়েকজনের সঙ্গে বসেছিলেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, সেখানে চড়াও হয়ে দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়।

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রাক্তন ইসিএল কর্মীর (Former ECL Worker)। স্থানীয় সূত্রে খবর, অনিয়মিত উপস্থিতির কারণে সম্প্রতি ওই কর্মীকে বরখাস্ত করে ইসিএল কর্তৃপক্ষ। গুলিকাণ্ডে এলাকায় আতঙ্ক, ঘটনাস্থলে কুলটি থানার পুলিশ।

ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা। বাজার থেকে মাংস কিনে, বাড়িতে রান্না করতে দিয়ে সবেমাত্র পরিচিতদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন কুলটির তুলসীহিড় এলাকার বাসিন্দা পরেশ মান্ডি। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তার ধারে ছাউনিতে বসে থাকার সময় আচমকা জনা কয়েক দুষ্কৃতী সেখানে চড়াও হয়। তাদের মধ্যে একজন খুব কাছ থেকে পরেশ মান্ডিকে পরপর তিনটি গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতের গলার নীচে ও বুকে ৩টি ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। পুলিশের অনুমান, খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে।

নিহত পরেশ মান্ডির স্ত্রী মংলি মেঝান বলেন, 'আমার সঙ্গে থাকত না। ৫ বছর হয়ে গেল। কোথায় থাকত আমরা জানি না। মাঝে মধ্যে ঘরে আসত। আজ এসেছিল খাসির মাংস কিনে। বলেছিল রান্না করতে। তারপর বেরিয়ে যায়। তারপরেই খবর আসে গুলি করে দিয়েছে।'' স্থানীয় সূত্রে খবর, ইসিএলে কাজ করতেন নিহত এই ব্যক্তি। কাজে অনিয়মিত হওয়ায় তাঁকে বরখাস্ত করেছিল ইসিএল কর্তৃপক্ষ।

একদিকে কুলটিতে খুন। অন্যদিকে অন্ডালে অস্বাভাবিক মৃত্যু। বুধবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের দুই প্রান্তে দেখা গেল দুই ছবি। দুর্গাপুরের অন্ডালে রেল কর্মীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। আজ সকালে ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে, সহকর্মীরা এসে কোয়ার্টারের মধ্যে রেল কর্মীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মৃতের গলায় দাগ মিলেছে বলে দাবি। খুনের অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগে স্ত্রীকে বিহারের বাড়িতে রেখে আসেন ওই রেল কর্মী। তারপর থেকে বাড়িতে একাই ছিলেন।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours