কিন্তু পরে সেলিম ফকির ওরফে হেলাল হোসেনের রেকর্ড ঘেঁটে দেখা যায়, সে সত্যিই একজন ভয়ংকর খুনি।কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছদ্মবেশী বাউল হেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশে বাউল সেজে ঘুরে বেড়ানোর কথা স্বীকার করে খুনি হেলাল।র্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, 'বাউল হেলালের বিরুদ্ধে যে ৩টি হত্যা মামলা রয়েছে, সবগুলোই বগুড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। সে বগুড়ার একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিল।
১৯৯৭ সালে বগুড়ার বিষ্ণু হত্যা মামলা, ২০০১ সালে বগুড়ার চাঞ্চল্যকর বিদ্যুত্ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি সে। এছাড়া ২০০৬ সালে রবিউল হত্যা মামলার আসামি ছাড়াও ২০১০ সালে বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা একটি চুরির মামলায় ২০১৫ সালে সে গ্রেপ্তার হয়।
RAB সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, খুনের পর সে বাউলের ছদ্মবেশ ধরে দেশের বিভিন্ন আখড়া, রেলস্টেশনে ঘুরে বেড়াত। কেউ বুঝতেও পারেনি যে এই বাউলের ভিতরেই লুকিয়ে এক খুনি। টানা ২০ বছর ধরে এভাবেই সে তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছে। তবে শেষরক্ষা আর হল না। দুঁদে গোয়েন্দাদের চোখ ঠিক খুঁজে নিয়েছে তাকে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours