দোকানের সামনে সাজানো মিষ্টি বা অন্য জিনিসের পসরা। আর পিছনে চলছে অনলাইন জুয়া খেলা। চোলাই মদ আর জুয়ার আসরের সঙ্গে সঙ্গে এই অনলাইন জুয়াও চিন্তা বাড়াচ্ছে আরামবাগ মহকুমার পুলিশের। পুরশুড়া এবং খানাকুলে অভিযানের পর সোমবার রাতে গোঘাটের পান্ডুগ্রাম থেকে অনলাইন জুয়া পরিচালনার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সপ্তর্ষি নন্দী স্থানীয় কামারপুকুর সেনপাড়ার বাসিন্দা। দিন চারেক হল পান্ডুগ্রাম বাজারে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে সে ব্যবসা শুরু হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে ধরা হয়। দোকান থেকে মিলেছে একটি কম্পিউটার, প্রিন্টার, বেশ কিছু অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত কুপন এবং নেট সংযোগের ডিভাইস। মঙ্গলবার ধৃতকে আরামবাগ আদালতে পাঠানো হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

এসডিপিও (আরামবাগ) অভিষেক মণ্ডল বলেন, 'আরামবাগ মহকুমার বহু এলাকা থেকে অনলাইন জুয়া খেলার অভিযোগ উঠছে। আমরা অভিযোগ পেলেই বিভিন্ন বাজারের দোকানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি। আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।''

পুলিশের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসে অনলাইন এই জুয়া খেলায় মজেছেন অনেকেই। সহজ পথে আয়ের ফাঁদে পা দিচ্ছেন বহু মানুষ। পুলিশি ধরপাকড় এড়াতে সামনে মিষ্টি বা অন্য কোনও পসরা সাজিয়ে চলছে রমরমিয়ে অনলাইন জুয়া খেলা। পুরশুড়ার সোঁয়ালুক, সোদপুর, পঞ্চাননতলা, ফতেপুর, চিলাডাঙ্গি, খানাকুলের চকভেদুয়া, বালিপুর, চব্বিশপুর, রাজহাটি, বন্দর-সহ বিভিন্ন এলাকায় এই ব্যবসার বাড়বাড়ন্ত চিন্তায় ফেলেছে
পুলিশ-প্রশাসনকে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জমছে এলাকার মহিলাদের মধ্যেও। খানাকুলের ছত্রশালের রীতা দোলুই, পুরশুড়ার সোঁয়ালুকের বিমলা মালিক-সহ দিনমজুর পরিবারের অনেক মহিলার অভিযোগ, এতদিন ছিল চোলাইয়ের নেশা। এ বার তার সঙ্গে জুড়েছে অনলাইন জুয়ার নেশাও। খেলার টাকা জোগাড়ের
জন্য তাঁদের স্বামীরা চুরি করছেন বলেও অভিযোগ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours