দেশজুড়ে প্রতিবাদের মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। গুরু নানকের জন্মদিনে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই ঘোষণা করে মোদির আবেদন, কৃষকরা এবার খেতে ফিরে আসুন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান, এতে কৃষকদের জয় হল।বিরোধীদের জয় হল। হার হল বিজেপির।

২০২০-র সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত কৃষি আইন সংসদের উভয় কক্ষে পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরই রাস্তায় নামেন কৃষকরা।
হরিয়ানা, পাঞ্জাবের কৃষকদের মিছিল এসে হাজির হয় রাজধানীর দরজায়। কংগ্রেস সহ বিরোধীরাও সরব হয় ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে।
আগামী বছরের শুরুতেই রয়েছে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, বছরের শেষে এসে কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার।

ইতিমধ্যে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট ওই তিনটি কৃষি আইন কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।

দেশবাসীকে গুরুনানকের আবির্ভাব দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকাল ৯ টায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন -



'গুরু নানকের আবির্ভাব দিবসে সবাইকে অভিনন্দন'

'দেড় বছর পর খুলে গিয়েছে কর্তারপুর করিডর'

' আমাদের সরকার সেবা ভাবনায় চলে'

'কৃষকদের অসুবিধাকে কাছ থেকে দেখেছি'

'কৃষক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি'

'দেশের বেশিরভাগ কৃষক ক্ষুদ্র কৃষক'

' এই সব কৃষকদের জীবন আটকে ছোট মাপের জমিতে'

'প্রজন্মর পর প্রজন্ম সেই জমি উত্তরাধিকার সূত্রে আরও ছোট হয়েছে'

'বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে'

'আজ কেন্দ্রের কৃষি বাজেট আগের তুলনায় পাঁচ গুণ বেড়েছে'

'সওয়া লক্ষ কোটি টাকা কৃষি খাতে খরচ করা হচ্ছে'

কৃষকদের জন্য নেওয়া হচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ'

'কৃষকদের জন্যই আনা হয়েছে ৩ কৃষি আইন'

'সংসদে আলোচনার পরেই কৃষি আইন আনা হয়েছে'

'৩ আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক কৃষক সংগঠনই'

'এই আইন আনার পিছনে সত্‍ উদ্দেশ্য ছিল'

'কয়েকজন কৃষককে আমার বোঝাতে পারিনি'

'আমরা কৃষকদের কথা বোঝার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি'

'২ বছর আইন প্রয়োগ বন্ধ রেখেছি'

'৩ কৃষি আইনকে প্রত্যাহার করছি'

আজ শিখ ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ দিন । আজ গুরুপরব। শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরুনানকের আবির্ভাব দিবস। সেই উপলক্ষ্য়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কর্তারপুর করিডোর খুলে দেওয়া হয়েছে। এই কর্তারপুর করিডোর দিয়েই পাকিস্তানের দরবার সাহিব কর্তারপুর যেতে হয়। শিখ সম্প্রদায় যেন তাদের উত্‍সবে অংশ নিতে পারেন সেজন্য বুধবারই এই করিডোর খোলা হয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours