সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে চার বছরের সম্পর্কে ইতি টানতে চলেছেন আইপিএলের অন্যতম ধারাবাহিক পারফর্মার কেএল রাহুল। চোটের কারণে ২০১৭-র আইপিএলে খেলতে পারেননি। তারপর ২০১৮-র নিলামে ১১ কোটি টাকার বিনিময়ে যোগ দিয়েছিলেন পাঞ্জাব কিংসে। তারপর ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেক মরশুমে ভাল খেলে চলেছেন তিনি


আর ব্যাট হাতে দুরন্ত ফর্মে থাকা কেএল রাহুলকে নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ২০২০-এ। তবে জানা যাচ্ছে পাঞ্জাব ছেড়ে রাহুল নিলামের পাল্লায় নিজেকে চড়াতে চলেছেন আসন্ন মেগা অকশনে।

ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-এর মেগা নিলামে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি কেএল রাহুলকে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নিলামে রাহুলের দাম যে আগের ১১ কোটিও ছড়িয়ে যেতে পারে, তা নিয়ে অনেকেই নিশ্চিত। ২০১৯ এবং ২০২০-তে কেএল রাহুল ব্যাট হাতে করে গিয়েছিলেন যথাক্রমে ৬৫৯ এবং ৫৯৩ রান। ২০২০-র আইপিএল ফিনিশ করেছিলেন ৬৭০ রানে। এই মরশুমে পাঞ্জাব প্লে অফে উঠতে ব্যর্থ হলেও রাহুল ব্যাট হাতে করেছেন ৬২৬ রান। বর্তমানে কমলা টুপির মালিকও তিনি।

নিলামের রিটেনশন নিয়ম নীতি এখনও প্রকাশ্যে আনেনি বিসিসিআই। তবে রিটেন করার অপশন থাকলে রাহুলকে পাঞ্জাব যে রিটেন করবেই তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে ঘটনা হল, ক্রিকেটারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাধারণত কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে ধরে রাখে না। আর অশ্বিন, অজিঙ্কা রাহানে, শিখর ধাওয়ানের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল অতীতে। প্রত্যেককেই ফ্র্যাঞ্চাইজি রিলিজ করে দিয়েছিল ক্রিকেটারের অনিচ্ছার কথা ভেবে। রাহুল যেতে চাইলে তাঁকেও আটকাবে না পাঞ্জাব কিংস।

আইপিএলে বরাবর ব্যর্থদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। ২০১৪ সালের পর একবারও পাঞ্জাব প্লে অফে পৌঁছতে পারেনি। ২০১৮-য় অশ্বিনের নেতৃত্বে শুরুটা ভাল করেছিল পাঞ্জাব। মরশুমের দ্বিতীয় ধাপে মুখ থুবড়ে পড়ে। রাহুলের নেতৃত্বে পাঞ্জাব কিংস ২০২০, ২০২১ পরপর দুই মরশুমে ষষ্ঠ স্থানে ফিনিশ করেছে।

কেএল রাহুল জাতীয় টি২০ দলের ভাইস ক্যাপ্টেন হওয়ার অন্যতম দাবিদার। পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলে কেএল রাহুলকে নতুন কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিরও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অতীতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, আরসিবির মত তারকা খচিত দলে খেলেছেন কেএল রাহুল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours