তাঁর ছেলের এক কাণ্ড গোটা দেশেই কার্যত লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়ে দিয়েছে। পুজোমণ্ডপে কোরআন রাখার খবর গোটা দেশেই সাম্প্রদায়িকতার আগুনকে উস্কে দিয়েছিল। সেই আগুনে পুড়েছে একাধিক হিন্দুর ঘরবাড়ি। ভাঙচুর হয়েছে একাধিক পুজোমণ্ডপ-মন্দির।ছেলের এমন কৃতকর্মের জন্য কার্যত অনুশোচনার আগুনে দগ্ধ হচ্ছেন কুমুল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ে পুজোমণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখার পাণ্ডা ইকবাল হোসেনের মা আমেনা বিবি। ছেলের এমন বেআক্কেলে কাণ্ডের জন্য কঠোর শাস্তি চাইলেন গর্ভধারিণী।

ছেল দাবি করলেন তিনি। কঠোর কৃতকর্মেরপবনদঅভ এবার ডণসকে ম্প্-রদায়িকতা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রমণের ধর্মান্ধরা কুমিল্লার নানুয়াদিঘীর পাড়ে পূজামণ্ডপে হনুমানের পায়ের উপর কোরআন রাখার ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজে সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি ইকবাল হোসেন তা নিশ্চিত করেছেন তার ভাই রায়হান। তিনি দাবি করছেন, তার ভাই 'পাগল'। ইকবালের মা বিবি আমেনাও নিজের ছেলেকে নিয়ে বিব্রত। পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখার কারণে ছেলের বিচার চাইলেন মা।

বুধবারই কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ের পুজোমণ্ডপে কোরআন শরীফ পাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, অষ্টমীর দিন রাতে অর্থা‍ত্‍ ১৩ অক্টোবর রাতে পাশের একটি মাজার থেকে কোরআন শরীফ নিয়ে পুজোমণ্ডপের দিকে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। খানিকবাদে তিনি যখন ফিরছেন, তখন তার হাতে দেখা গিয়েছে গদা। ওই ব্যক্তিকে ইকবাল হোসেন বলে শনাক্ত করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

কুমিল্লা শহরের সুজানগর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকে ইকবালের পরিবার। বৃহস্পতিবার ওই বাড়িতে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইকবালের মা আমেনা বিবি বলেন, 'বখাটেপনার কারণে একবার গণপিটুনি দেওয়া হয়েছিল ছেলেকে। তার পর থেকে তার আচরণে সবাই অতিষ্ঠ। ইকবালকে পেলে আপনারা বিচার করবেন। এই সন্তানের জন্য আমার পরিবারটা শেষ হয়ে গিয়েছে।'

মায়ের পাশে বসে ইকবালের ছোটভাই রায়হান বলেন, 'সিসিটিভির ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে সে আসলে আমার দাদা। গত কিছুদিন ধরেই মানসিক রোগী। ঘটনার এক সপ্তাহ আগে খেলার মাঠে তাকে নিয়ে ছেলেপুলেরা দুষ্টুমি করায় সবাইকে জুতো দিয়ে মেরেছিল। ওকে কেউ কিছু খেতে দিয়ে যা করতে বলবে, তাই করবে। এবারেও কারও কথা শুনে পুজোমণ্ডপে কোরআন শরীফ রেখেছে।

Source- এই মুহূর্তে
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours