ভয়ঙ্কর কাণ্ড! মাশরুম (Mushroom) ভেবে বিষাক্ত ব্যাঙের ছাতা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১০ জন। বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার আমলানি গ্রামপঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামের ঘটনা।
তেঘরিয়ার বাসিন্দা সুস্মিতা সর্দার ও তাঁর প্রতিবেশী অনামিকা সর্দার নিজেদের বাগান থেকেই ওই ব্যাঙের ছাতা তোলেন।টানা বৃষ্টির পর বাগানে ইতিউতি প্রচুর এই ছত্রাকও হয়েছে। সুস্মিতা ও অনামিকা সেই ছত্রাক বাড়ির বাগান থেকে তুলে নিয়ে যান মাশরুম ভেবে। এরপর তা কষিয়ে রান্নাও করেন। এদিকে সেই খাবার খাওয়ার পরই শুরু হয় মাথার যন্ত্রণা, পেটের ব্যথা, বমি, পায়খানা।
বাচ্চা, মহিলা ও পুরুষ-সহ মোট ১০ জন অসুস্থ হন। সকলকেই প্রথমে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান ওই বিষাক্ত ব্যাঙের ছাতা খাওয়ার ফলে তাদের ডায়ারিয়া হয়েছে। আক্রান্তদের চিকিত্সা চলছে হাসপাতালে।
স্যালাইন ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। আক্রান্তদের বক্তব্য, এই সময় বাগানে মাশরুম হয়। সে কথা ভেবেই ব্যাঙের ছাতা কেটে নিয়ে যান। আর তা রান্না করার পর সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তেঘরিয়া গ্রামে। চিকিত্সকদের বক্তব্য, ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।
সুস্মিতা সর্দার নামে ওই পরিবারের এক সদস্য জানান, “দুপুরে রান্না হয়েছে মাশরুম। যে মাশরুম আমরা খাই, ওগুলো তা ছিল না। ব্যাঙের ছাতা ছিল। বুঝতে না পেরে এই ঘটনা। বিকেল থেকে সমানে বমি করে চলেছে। বমির সঙ্গে পায়খানা করছিল বার বার। প্রথমে টাকি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ওখান থেকে পাঠিয়ে দেয় বসিরহাটে। আমাদের বাড়িরই চারজন রয়েছে। আসলে প্রতি বছর এই সময় বাগানে মাশরুম হয়। খাওয়াও হয়। তাই এবার ভুল করে তুলে এনেছে।”
কয়েক হাজার প্রজাতির মাশরুম রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, এমন বহু মাশরুম রয়েছে যার কার্য ক্ষমতা সম্পর্কে এখনও আমরা ওয়াকিবহালই নই। মার্কিন মুলুকের বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, এই সমস্ত মাশরুমের শতকরা ৫০ শতাংশই খাওয়ার যোগ্য। তবে এমন ২০ শতাংশ মাশরুম রয়েছে যা শরীরের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে। মারাও যেতে পারেন মানুষ। এর অন্তত ১ শতাংশ মাশরুম তো প্রাণঘাতী হতেই পারে।
Source-TV9 BANGLA
Post A Comment:
0 comments so far,add yours