নিউটাউনে এনকাউন্টারে ঘটনায় নতুন মত জয়পাল ভুল্লারের পরিবারের। পরিবারের দাবি অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে পাঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার জয়পালকে। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে পাঞ্জাবে হাইকোর্টের দ্বারস্থ জয়পালের পরিবার। দাবি সাজানো হয়েছে এনকাউন্টারের ঘটনা। যদিও পঞ্জাব হাইকোর্ট অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।

পঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার জয়পাল ভূল্লারকে অত্যাচার করে খুনের অভিযোগ তুললো তার পরিবার। এই দাবিতে পঞ্জাবের চণ্ডীগড় হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন তাঁরা। জয়পালের পরিবারের দাবি অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে চণ্ডীগড় হাইকোর্ট। কিন্তু নিহত গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার ও তার সঙ্গী যশপ্রীতের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট গুলির চিহ্ন।

সেই সঙ্গে নিহতদের হাতে গান পাউডারের নমুনা মেলায় তারাও যে গুলি চালিয়েছিল তার প্রমাণও স্পষ্ট। এরপরও ভুল্লারের বাবা দাবি করেন, ছেলের মরদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হোক। তাঁর অভিযোগ, তার দেহে অত্যাচারের চিহ্ন স্পষ্ট রয়েছে। সেই সঙ্গে ভাঙা রয়েছে হাতও। অভিযোগ মৃত্যুর আগে তাকে মারধর করা হয়েছিল যার জেরে তার পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল।

নিউটাউন এনকাউন্টারের ঘটনায় দুটি সংস্থা আলাদা ভাবে পর্যায়ে তদন্ত চালাচ্ছে। একদিকে যেমন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশ ভুল্লারদের বঙ্গযোগ সম্বন্ধে জানতে চাইছে। সেই সঙ্গে ভরত কুমারের শ্বশুরবাড়ি এই বাংলাতেই হওয়াতে পুলিশের সন্দেহ তীব্র হচ্ছে। তেমনই অন্যদিকে পঞ্জাব পুলিশ ভুল্লার ও তার সহযোগীদের নিয়ে তদন্ত করছে। পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাব পুলিশ তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছে ভুল্লারদের কাছে এত অত্যাধুনিক অস্ত্র কীভাবে এল?

প্রসঙ্গত, সুখবৃষ্টি নামে সাপুরজির এক অভিজাত আবাসনে লুকিয়েছিলেন দুই মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার ও যশপ্রীত সিং ওরফে জসসি। তাদের মাথার দাম ছিল যথাক্রমে ১০ লক্ষ ও ৫ লক্ষ টাকা। পঞ্জাব পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক বিশেষ অপারেশনে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ বাহিনী সাউথ সিটির ওই আবাসনে যায় দিন কয়েক আগে। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে মৃত্যু হয় দুই দুষ্কৃতীর। গুলিতে আহত হন এক পুলিশ আধিকারিকও। জানা যায় ভরত কুমার নামে এক ব্যক্তি কলকাতায় থাকার সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ভুল্লারদের। এই দুই গ্যাংস্টার পঞ্জাবে প্রকাশ্যে দুই পুলিশ অফিসারকে খুন করেছিল। সেই ঘটনার পর থেকেই তাদের খুঁজছিল পঞ্জাব পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours