গরমের সময় বাসা থেকে বের হলে প্রয়োজনীয় সবকিছু ভ্যানিটি ব্যাগে কিংবা পকেটে ভরে নিই। এর মধ্যে মোবাইল, টাকার ব্যাগ, হেডফোনের সঙ্গে ডিও বা মিনি পারফিউম রাখতে ভোলেন না অনেকে। কারণ প্রচণ্ড গরমে ঘামের দুর্গন্ধ হয়, যা নিজের সঙ্গে অন্যকেও বিব্রত করে।

ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানান, গায়ের গন্ধ একটা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এটি পিউবার্টির (প্রজনন চক্রে প্রবেশের সময়) সময় শুরু হয়। তবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ তো নিঃসন্দেহে একটা বড় সমস্যা। এই দুর্গন্ধ কারও বেশি, কারও বা কম। কেন দুর্গন্ধ হয় তা জেনেই এর প্রতিকার করা সম্ভব।

আপনি যা খাচ্ছেন সেখান থেকে শরীরে ঘাম বেড়ে যেতে পারে।

ঘাম বাড়লেই দুর্গন্ধও বাড়বে। চিকিত্‍সকেরা বলেন, খাবার থেকে যৌগ ভেঙে সরলীকরণ হয়, সেই পদ্ধতিতে সমস্যা থাকছে। খাবারে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকলে গায়ে দুর্গন্ধ হয়। রেড মিট, ডিম, পেঁয়াজ, ব্রকলি, রসুন ইত্যাদি খবারে সালফারের পরিমাণ বেশি। এসব খাবারে আলাদা আলাদা রকম ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা খেলে নানা রকমের গন্ধ হয়। ঘাম উত্‍পাদক সোয়েট গ্ল্যান্ডের ব্যাকটেরিয়াল ব্রেক ডাউনের ফলে দুর্গন্ধ বেড়ে যায়।


অ্যালকোহল পান


অ্যালকোহল পান করলেও শরীরের গ্রন্থি অ্যাসিডিক হয়ে যায়। এতে গায়ে দুর্গন্ধ হয়। যাদের গায়ে দুর্গন্ধ বেশি, তারা অ্যালকোহল পান বন্ধ করে দেখুন। ঘাম ও দুর্গন্ধ করে যাবে।


বয়ঃসন্ধি সমস্যা


বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের ঘামের দুর্গন্ধ বেড়ে যেতে পারে। তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই সেই সমস্যা কমে যায়। যদি না কমে তবে বুঝতে হবে জটিল শারীরিক সমস্যা রয়েছে।


ডায়াবেটিস


যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের অনেক সময় গায়ে দুর্গন্ধ বেশি হয়। তাদের ঘামও বেড়ে যায়। সুগারের লেভেল ওঠা-নামা করলে শরীরের দুর্গন্ধেরও তারতম্য হয়।


স্নায়ুর সমস্যা


স্নায়ুর অসুখ অথবা হাইপারথাইরয়েডিসম থাকলেও শরীরে দুর্গন্ধের সমস্যা বাড়তে পারে।


উদ্বেগ বা উত্তেজিত হলে


মানসিকভাবে উদ্বিগ্ন থাকলেও শরীরের গ্রন্থিগুলোতে প্রভাব ফেলে। অ্যাপোক্রিন গ্রন্থি এ সময় সক্রিয় হয়ে ওঠে। এটি সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে আরও উত্তেজিত করে তোলে। তবে স্ট্রেস বা উদ্বেগ দুর্গন্ধের কারণ হয় না। এটি দুর্গন্ধ বাড়িয়ে দেয়।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours