ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যদি ব্লাড প্রেশার ৯০ বা ৯০ এর নিচে হয় তবে নিম্ন রক্তচাপ আছে ধারণা করা হয়। ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নানা করণে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে। যেমন ডিহাইয়েড্রেশন, রক্তস্বল্পতা, দুশ্চিন্তা, থাইরয়েড, ইত্যাদি।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে আমরা কম-বেশি সচেতন হলেও লো ব্লাড প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে ততটা নই। নিম্ন রক্তচাপের কারণে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব এবং অস্পষ্ট দৃষ্টিশক্তি নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ। নানা করণে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে। যেমন ডিহাইয়েড্রেশন, রক্তস্বল্পতা, দুশ্চিন্তা, থাইরয়েড, ইত্যাদি। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে নিজের প্রতি হতে হবে যত্নশীল। যদি ব্লাড প্রেসার ৯০ বা ৯০ এর নিচে হয় তবে নিম্ন রক্তচাপ আছে ধারণা করা হয়। ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্ট করে দেবেন। চিকিৎসকেরা যেই খাবারের পরামর্শ দেন, দেখে নিন সেগুলো কী কী।স্বাস্থ্যকর খাবার খান
প্রাতঃরাশ, দুপুরের এবং রাতের খাবারের মাঝে সামান্য পরিমাণ হালকা খাবার খাওয়া প্রয়োজন। নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা এড়াতে সারাদিন অল্প অল্প করে খাবার খাওয়া উচিত। সারা দিনে তিনবার খাওয়ার পরিবর্তে যদি আপনি আপনার ডায়েটের খাওয়া-দাওয়া কে পাঁচটি ছোট ভাগে ভাগ করে নেন, তাহলে এটি আপনার জন্যে বেশি উপকার। এমনকি এটি ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যেও কার্যকরী।
জল
জল কম পান করার কারণে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন। এটি রক্তের পরিমাণ হ্রাস করে যার ফলে রক্তচাপ কমে আসে। ব্যায়াম করার সময় নিজেকে হাইড্রেড রাখা আবশ্যক। প্রচুর জল পান করবেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর শরবত, ডাবের জল পান করবেন। এগুলো আপনাকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। এছাড়া নুন জলও পান করতে পারেন। নুনে সোডিয়াম আছে যা রক্তচাপকে বাড়িয়ে দেয়। তবে অতিরিক্ত নুন গ্রহণ করা উচিত নয়। এক গ্লাস জলে আধ চামচ নুন মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন ২ গ্লাস নুন জল খান। দেখবেন রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কফি
ক্যাফেইন সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। যদি আপনার রক্তচাপ হঠাৎ কমে আসে এবং মাথা ঝিমঝিম করে তাহলে এককাপ চা কিংবা কফি পান করতে পারেন। ক্যাফেইন আমাদের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে উদ্দীপ্ত করে এবং হার্ট রেট বৃদ্ধি করে। যা রক্তচাপ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া দুধ চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি ব্লাড প্রেশার দ্রুত বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকে। ১ থেকে ২ কাপ ব্ল্যাক কফি খান প্রতিদিন। চা-কফি অনেক সময়ে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যার সমাধানের সাহায্য করে। হঠাৎ করে যদি আপনার রক্তচাপ একেবারে কমে যায়, তাহলে সেই মুহূর্তে এক কাপ চা বা কফি আপনার শরীরের জন্য উপকার হবে।
তুলসি পাতা
প্রতিদিন সকালে পাঁচ থেকে ছয়টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে কা রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তুলসি পাতায় উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই পাতার মধ্যে ইগেনোল নামে পরিচিত এন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে ৫ থেকে ৬টা তুলসী পাতা খালি পেটে খাওয়ার জন্যে। শরীরের জন্য খুব উপকার তুলসী পাতা। এতে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি আছে, যেটা শরীরের রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এমনকি এতে বর্তমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
কিসমিস
নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিশমিশ প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। ৩০-৪০ টি কিশমিশ এক কাপ জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে এটি খান। কিশমিশের সাথে কিশমিশ ভেজানো জলটাও খান। এভাবে কয়েক সপ্তাহ কিশমিশ খান। কিছুদিনের মধ্যে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিসমিসও শরীরের জন্যে খুবই কার্যকর। কয়েকটা কিসমিস রাতে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে, সকালে সেই দুধ গরম করে পান করুন। রোজ সকালে এটি পান করলে ব্লাড প্রেসার কখনই কমবে না। তার সঙ্গে এটি শরীরের রক্ত চলাচলে সাহায্য করবে।
বাদাম দুধ
৭-৮ টি কাঠবাদাম সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এটির খোসা ছাড়িয়ে পেস্ট করে নিন। এবার এক গ্লাস দুধে বাদামের পেস্ট মিশিয়ে নিন। গরম গরম পান করুন। রাতে শোয়ার আগে ৫-৬ টি আমন্ড দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা সেগুলির খোসা ছাড়িয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন এবং গরম করে খেয়ে নিন। এর ফলে কোনদিনও আপনার নিম্ন রক্তচাপ হবে না। আমন্ড দুধে কোলেস্টেরল কিংবা অপ্রয়োজনীয় চর্বি নেই। বরং এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যে সমস্ত মানুষের লো ব্লাড প্রেসার রয়েছে তাঁদের সকলেরই এটি খাওয়া উচিত।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours