মার্কস অনেকেরই সৌন্দর্যের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। স্ট্রেচ মার্কসের জন্য বেশি সমস্যায় পড়তে হয় মহিলাদের। কোমড়ে, পেটে, হাতে বা পায়ে স্ট্রেচ মার্কসের জন্য অনেক পছন্দসই পোশাক পড়তে সমস্যায় পড়তে হয়। স্ট্রেচ মার্কস নিয়ে বহু মহিলাই নাজেহাল। বিশেষ করে মা হওয়ার পরে এই সমস্যা বেশ চিন্তায় ফেলে। যদিও এই ব্যাপারটি সে ভাবে শরীরের ক্ষতি করে না। কিন্তু শ্রী নষ্ট করে। নিজের পছন্দ মতো পোশাক পরতে না পারার জন্য অনেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন। শুধু মেয়েরা নয়, বিভিন্ন কারণে ছেলেরাও এই সমস্যার শিকার।
কেন হয় এই স্ট্রেচ মার্কস
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওজন ঝরিয়ে রোগা হলে শরীরে স্ট্রেচ মার্কস দেখা দেয়। তাছাড়া, সন্তান ধারণের পর প্রায় সব মহিলারই পেটে আর কোমড়ে স্ট্রেচ মার্কস তৈরি হয়। বাজারে একাধিক ক্রিম বা জেল রয়েছে যেগুলি স্ট্রেচ মার্কস দূর করতে সাহায্য করে। নতুন অবস্থায় স্ট্রেচ মার্কসের রং গোলাপি, পরে সময়ের সঙ্গে বদলে হয় বাদামি। ছেলে বা মেয়ে বয়ঃসন্ধির সময়ে দ্রুত লম্বা হয়, কখনও ওজন কমে বা বাড়ে। এর ফলে থাই, হাত, কোমরে স্ট্রেচ মার্কস দেখা যায়।ওজন কমলে যেমন স্ট্রেচ মার্কস হয়, তেমনই দ্রুত ওজন বাড়লেও হয়। তবে রাসায়নিক যুক্ত ক্রিম বা জেল থেকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার একটা ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়। সে ক্ষেত্রে এমন বেশ কয়েকটি ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলি কাজে লাগিয়ে সহজেই স্ট্রেচ মার্কস দূর করা যায়।
আলুর রস
পাতলা করে আলু কেটে আলুর রস স্ট্রেচ মার্কের ওপর আলতো করে মালিশ করুন। ৫-১০ মিনিট রেখে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহ খানেক স্ট্রেচ মার্কের ওপর আলুর রস মাখতে পারলে ফল পাবেন হাতে নাতে। আলুর কুরিয়ে তার রস দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। স্ট্রেচ মার্কস থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে রোজ খেতে হবে দিনে আট-দশ গ্লাস জল। ডায়েটে থাক আমন্ড, পালং শাক, ব্রকোলি, পেঁপে, দই, তিল, কুমড়ো ইত্যাদি। ওষুধের চেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাগ তুলতে সময় বেশি লাগবে এবং দামও বেশি। কিন্তু সাইড এফেক্ট এড়াতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভরসা করা বুদ্ধিমানের কাজ।
ডিমের সাদা অংশ
এই দাগ তুলতে সাহায্য করে হাই প্রোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড। দুটোই আছে ডিমের সাদা অংশে। ডিমের সাদা অংশ তুলি দিয়ে লাগিয়ে নিন স্ট্রেচ মার্কসের উপরে। শুকিয়ে গেলে জলে ধুয়ে ফেলুন। ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফেটিয়ে স্ট্রেচ মার্কের ওপর আলতো করে মাখিয়ে রাখুন। মিনিট পনেরো এ ভাবেই রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। তার পর কোনও ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। যত দিন না দাগ হালকা হচ্ছে, এই পদ্ধতি কাজে লাগান। ওষুধের চেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাগ তুলতে সময় বেশি লাগবে এবং দামও বেশি। কিন্তু সাইড এফেক্ট এড়াতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভরসা করা বুদ্ধিমানের কাজ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours