শীতের দেখা নেই শহরে। বরং যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে তাপমাত্রা। বুধবারের থেকে আরও একধাপ চড়ে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা চড়ল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামী সোমবার থেকে ঠান্ডা পড়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে এখনই শীতের আশা না-করাই ভালো।
নভেম্বরের শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি। কিন্তু ঠান্ডা আমেজ মিলেছে মাত্র দিন তিন-চারেক। তার পর কখনও পশ্চিমি ঝঞ্ঝা, কখনও সাগরের উচ্চচাপ বলয়ের কুনজরে আকাশে মেঘ ঢুকেছে, কমেছে ঠান্ডার অনুভূতি। বুধবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও হয় দক্ষিণবঙ্গে। তবে সোমবার থেকে এই প্রতিকূল পরিস্থিতি কেটে যাবে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। পড়বে বহু প্রতীক্ষিত ঠান্ডা। তবে শীত আসতে ঢের দেরি, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন আবহবিদরা।
বুধবার আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে দু'ডিগ্রি বেশি। অগ্রহায়ণ মাস পড়ে গেলেও ঘাম পিছু ছাড়েনি। দিনের তাপমাত্রাও রয়েছে ৩২ ডিগ্রির আশপাশে। থাকার কথা অন্তত দু'ডিগ্রি কম। বৃহস্পতিবার সেই তাপমাত্রাই আরও বেড়ে গিয়ে হয়েছে ২২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চলতি মরসুমের শুরুতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছিল দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে। তার সামান্যই এসে পৌঁছয় বাংলায়। ৬ নভেম্বর প্রথমবার কলকাতার তাপমাত্রা কুড়ির নীচে নামে। ৮ নভেম্বর পারদ নামে ১৮.৩ ডিগ্রিতে। তার পর আর কমেনি তাপমাত্রা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কাশ্মীরে ঢুকছে। ভূমধ্যসাগর থেকে জলীয় বাষ্প বয়ে দেশের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সরে ঝঞ্ঝা। সে সময় তাপমাত্রা বাড়ে। আবহবিদরা মনে করছেন, এই ঝঞ্ঝাটি পশ্চিম হিমালয়ে তুষারপাতের পরিস্থিতি তৈরি করবে। এবং ঝঞ্ঝা সরে গেলেই সেই তুষারছোঁয়া বাতাস সমতলে নেমে আসবে। সোমবার থেকে তার প্রতিফলন দেখতে পাবে বাংলাও। কলকাতার তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে। জেলায় তাপমাত্রা থাকবে আরও কম। তবে শীতের জন্য মাঝ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই, মন্তব্য এক আবহবিদের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours