১৯৯২ সাল থেকে চা বাগানের ব্যবসা করছেন সুরজ চেটিয়া৷ তিনি জানাচ্ছেন, ১৯৯৯ সালেও ১২.৫০ টাকা কিলো দরে সবুজ চা পাতা বিক্রি হয়েছে৷ এই ব্যবসা এখনও লাভজনক৷ শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়ার পরেও৷

অসমের তিনসুকিয়া জেলায় ২৬.৫ একর চা বাগানের মালিক দুলু হাজারিকা৷ করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনে যখন গোটা দেশ আর্থিক মন্দার কবলে, তখন যেন ছদ্মবেশেই এই সঙ্কটের সময়টা আশীর্বাদ হয়ে এসেছে দুলুর কাছে৷ গতবারের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম চা উত্‍পাদন হলেও অসম চায়ের ব্যাপক দাম বাড়ার ফলে মোটা অঙ্কের মুনাফা ঘরে আসছে৷
ঠিক তাই, রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে অসম চায়ের দাম৷ দুলু হাজারিকা জানাচ্ছেন, তিনি চা বাগানের পাশাপাশি একটি চা কারখানাও কিনেছিলেন৷ গত মার্চে সবুজ চা পাতার দাম ১৬ থেকে ১৮ টাকা কিলো দর ছিল৷ লকডাউনের পরে চা উত্‍পাদন ব্যাপক মার খায়৷ উত্‍পাদন কম হওয়ার ফলে দাম বাড়তে থাকে৷ করোনা অতিমারি আমাদের মতো চা বাগান মালিকদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে৷
অসমে ১.৫ লক্ষ ছোট চা বাগান ব্যবসায়ী রয়েছেন৷ যাঁদের রাজ্যে মোট চা উত্‍পাদনের একটি বড় অংশের অবদান থাকে৷ শুধু তিনসুকিয়াতেই ২০ হাজার ছোট চা ব্যবসায়ী রয়েছেন৷
১৯৯২ সাল থেকে চা বাগানের ব্যবসা করছেন সুরজ চেটিয়া৷ তিনি জানাচ্ছেন, ১৯৯৯ সালেও ১২.৫০ টাকা কিলো দরে সবুজ চা পাতা বিক্রি হয়েছে৷ এই ব্যবসা এখনও লাভজনক৷ শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়ার পরেও৷
সুরজ চেটিয়ার কথায়, 'অতিমারির সঙ্গে অসমে দুটি বড় ফ্যাক্টর চা শিল্পে প্রভাব ফেলেছে৷ মার্চ ও এপ্রিল মাসে ব্যাপক গরম ছিল৷ মার্চে চা বাগানে কীটের উপদ্রব হয়৷ তারপরেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হল গত ৪ মাস ধরে৷ তাও চায়ের উত্‍পাদনের পক্ষে খারাপ৷ সব মিলিয়ে উত্‍পাদন কমে যায়৷ কিন্তু দাম বাড়তে থাকে৷ আমার ফ্যাক্টরিতেই ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা কিলোদরে বিক্রি হচ্ছে৷'
গুয়াহাটি চা নিলাম কেন্দ্রও এবছর বিরাট মুনাফা দেখতে পাচ্ছে৷ গড়ে অসম চা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে নিলাম হয়৷ টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া-র (গুয়াহাটি) সচিব দীপাঞ্জল ডেকার কথায়, 'যদি চা উত্‍পাদকরা ভাল দাম পান, তা হলে সবুজ পাতার জন্য মোটা অঙ্কের দাম দিতেই হবে৷ উত্‍পাদন কমায়, গ্রিন টি-এর মান আরও ভাল হয়ে গিয়েছে৷'
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours