কলকাতায় অত্যাধিক বিদ্যুতের বিল নিয়ে সি.ই.এস.সির বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য সরকার, গতকাল দেওয়া হতে পারে অ্যাডভাইজরি।
কলকাতার বিদ্যুৎ নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে। শনিবার সংবাদপত্রে একটি ব্যাখ্যা দেয় সি.ই.এস.সি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
- মানুষকে জানাতে সরকারের প্রস্তাব মেনে সি.ই.এস.সি সংবাদপত্রে ব্যাখ্যা দিলেও তা স্পষ্ট নয়।
- মানুষের কাছে পরিষ্কার করে জানাতে হবে, কী কারণে এত বেশি টাকা বিদ্যুৎ বিল বাবদ মেটাতে হবে।
- হিসাব পরিষ্কার করে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ছোট গ্রাহক অর্থাৎ যাঁরা অল্প বিদ্যুৎ খরচ করেন, তাঁরা সব সময়ই কম দামে বিদ্যুৎ পান। অভিযোগ, লকডাউনকে সামনে রেখে যে ভাবে বিদ্যুতের বিল তৈরি করা হয়েছে তাতে ওই ছোট গ্রাহকরা তাঁদের প্রাপ্য স্ল্যাবের যথাযথ সুবিধা পাচ্ছেন না। চাপে পড়েছেন বড় গ্রাহকরাও। লকডাউনের সময় শিল্প কারখানা, অফিস, বাজার, মল, দোকান বন্ধ ছিল। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা পঞ্চাশ শতাংশের বেশি কমে গিয়েছিল। এরপর উম্পুনে শহরের একটা বড় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে সিইএসসিরও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অথচ বণ্টন কোম্পানি একই ধরনের লোকসানের মুখে পড়লেও গ্রাহকরা যাতে দেরিতে বিল মেটাতে পারেন সে জন্য সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে সিইএসসি-র গ্রাহকদের ক্ষোভ চরমে।
সিইএসসি সূত্রে খবর, লকডাউনে টানা দু'মাস ইলেকট্রিক মিটারের রিডিং নেওয়া যায়নি। পরিবর্তে গ্রাহকদের কাছে গড় বিল পাঠানো হয়। ফলে ওই সময় যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে, তার থেকে কম বিল এসেছিল। আনলক পর্ব চালু হওয়ায় পর সিইএসসি আবার মিটার রিডিং নেওয়ার কাজ শুরু করে। এরপরই গ্রাহকদের কাছে যে বিল পাঠানো হয়, তা বিপুল বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিও লকডাউনের সময় মিটার রিডিং নিতে পারেনি। পরবর্তীকালে একইভাবে রিডিং নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। তাদের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় দু'কোটি। সেখানে বিদ্যুতের বিল নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ নেই। অথচ সিইএসসি এলাকার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় তেত্রিশ লক্ষ। তাহলে সিইএসসির বিল নিয়ে বিভ্রান্তি কেন?
গ্রাহকদের 'অস্বাভাবিক' বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সিইএসসির বাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অসন্তোষ ও বিভ্রান্তি দূর করতে সিইএসসিকে অ্যাডভাইজরি পাঠানোর প্রস্তাব বিবেচনা করছে নবান্ন। শনিবার রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এ নিয়ে ফের একদফা বৈঠক করেন সি.ই.এস.সি কর্তাদের সঙ্গে। রাতে নবান্নের এক কর্তা জানান, অ্যাডভাইজরি পাঠানোর বিষয়টি কাল, সোমবার চূড়ান্ত হতে পারে।
ক্ষুব্ধ বিদ্যুৎমন্ত্রী এ দিন সিইএসসি আধিকারিকদের বলেন, 'মানুষকে জানাতে সরকারের প্রস্তাব মেনে আপনারা সংবাদপত্রে ব্যাখ্যা দিলেও তা পরিষ্কার নয়। মানুষের কাছে পরিষ্কার করে জানান, কী কারণে এত বেশি টাকা বিদ্যুৎ বিল বাবদ মেটাতে হচ্ছে। অঙ্কটা স্পষ্ট করে মানুষের কাছে তুলে ধরুন।' সিইএসসি এক দিন সময় চেয়েছে। পরে শোভনদেব বলেন, 'সিইএসসি জানিয়েছে, সোমবারের মধ্যে তারা মানুষকে বিদ্যুতের বিল বেশি হওয়ার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারবে।'
রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রের খবর, এ ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের বিল কী ভাবে তৈরি করতে হবে, তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্দিষ্ট ফর্মুলা রয়েছে। বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের সময়ই তা উল্লেখ করে দেয় কমিশন। সিইএসসি লকডাউনের বিদ্যুৎ বিল তৈরির সময় সেই ফর্মুলা যথাযথ অনুসরণ না করাতেই এই জটিলতার সৃষ্টি বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলে। গ্রাহকদের বিভ্রান্তি দূর করতে তাই অ্যাডভাইজরি দিতে পারে নবান্ন।
ক্ষুব্ধ বিদ্যুৎমন্ত্রী এ দিন সিইএসসি আধিকারিকদের বলেন, 'মানুষকে জানাতে সরকারের প্রস্তাব মেনে আপনারা সংবাদপত্রে ব্যাখ্যা দিলেও তা পরিষ্কার নয়। মানুষের কাছে পরিষ্কার করে জানান, কী কারণে এত বেশি টাকা বিদ্যুৎ বিল বাবদ মেটাতে হচ্ছে। অঙ্কটা স্পষ্ট করে মানুষের কাছে তুলে ধরুন।' সিইএসসি এক দিন সময় চেয়েছে। পরে শোভনদেব বলেন, 'সিইএসসি জানিয়েছে, সোমবারের মধ্যে তারা মানুষকে বিদ্যুতের বিল বেশি হওয়ার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারবে।'
রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রের খবর, এ ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের বিল কী ভাবে তৈরি করতে হবে, তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্দিষ্ট ফর্মুলা রয়েছে। বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের সময়ই তা উল্লেখ করে দেয় কমিশন। সিইএসসি লকডাউনের বিদ্যুৎ বিল তৈরির সময় সেই ফর্মুলা যথাযথ অনুসরণ না করাতেই এই জটিলতার সৃষ্টি বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলে। গ্রাহকদের বিভ্রান্তি দূর করতে তাই অ্যাডভাইজরি দিতে পারে নবান্ন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours