লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন সংঘর্ষের জের। আগেই নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিলিগুড়ির হংকং মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি। চিনা সামগ্রী বয়কটেরও ডাক দিয়েছে তারা। এবারে সেই পথেই পা বাড়ালো বাগডোগরা এয়ারপোর্ট মোড় ব্যবসায়ী সমিতিও।

বিমানবন্দরের আগে এই মার্কেট। এখানে প্রায় ৫০০ দোকান রয়েছে। অধিকাংশ দোকানই চিনের সামগ্রীর ওপর নির্ভরশীল। কম দামে  রকমারি খেলনা থেকে রেইন কোট কিংবা রঙ, বেরঙের ছাতা! শীতের জ্যাকেট থেকে হেয়ার ব্যাণ্ড! অত্যাধুনিক নকশার বেড শিট থেকে নানা ধরনের ফ্যান্সি লাইট! সবই মিলত এই মার্কেটে। একেবারে হাতের নাগালেই ছিল সব ধরনের জিনিস। আর তাই ভিড় বাড়তো ক্রেতার। স্থানীয়রা তো ছিলেনই। পর্যটকেরাও ভিড় জমাতো এখানে। পাহাড় বা ডুয়ার্স বেড়িয়ে ঘরে ফেরার পথে একবার ঢুঁ মেরে যাওয়া এয়ারপোর্ট মোড় বাজারে। অন্তত পছন্দের পারফিউম বা ইলেক্ট্রনিক্স আইটেম কিনে সোজা বিমানবন্দরে। আর বর্ষা এলেই রঙ, বেরঙের বিভিন্ন সাইজের ছাতা না হলে তো নয়ই! কিন্তু লাদাখ সীমান্তে চিন সেনাদের দাদাগিরির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক নির্মল কুমার রায় জানান, আর নয় চিনা সামগ্রী। ওদের পেটে মারতেই বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে দেশীয় জিনিস বিক্রি করা হবে। এতে সাময়িক আর্থিক ক্ষতি হবে। তা মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে। এক ব্যবসায়ী তপন সরকার জানান, আমরা চীনা সামগ্রী না রাখলে ক্রেতাদের কাছেও চাহিদা কমবে। পরিবর্তে দেশীয় আইটেম বিক্রি করা হবে। এজন্য চাই কেন্দ্রের সহযোগিতা। তাহলেই ঘুড়ে দাঁড়াবে ব্যবসায়ীরা। আর তাই আজ ব্যবসায়ীরা চিনা সামগ্রী পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায়। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিঙের ছবিও পোড়ানো হয়। চিন বিরোধী স্লোগানে সরব ব্যবসায়ীরা। এই মূহূর্তে যা সামগ্রী মজুত আছে, তা বিক্রি করা হবে। নতুন করে আর চিনের সামগ্রী তোলা হবে না। মার্কেটের অন্য ব্যবসায়ীদের গলাতেও চিন বিরোধী স্লোগান।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours