দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বোমা বিস্ফোরণের পর এখনও থমথমে বাসন্তীর (Basanti) ফুলমালঞ্চের সর্দারপাড়া। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। ফারুক সর্দার নামে যুবকটি বারুইপুর হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। ওই হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন মঙ্গলবার রাতেই প্রাণ যায় তাঁর।মঙ্গলবার ভোরের দিকে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকার সর্দারপাড়ার বাসিন্দা হামিরুদ্দিন সর্দারের বাড়িতে আগুন লাগে। ভিতর থেকে ৫-৬ বার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আশপাশের মানুষজন। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা বালতি করে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন (Fire)নেভানোর কাজে হাত লাগায়। তবে তাতেও রক্ষা মেলেনি। মাটির বাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। সেই সময় জখম হন ফারুক সর্দার নামে এক যুব তৃণমূল কর্মী। তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তকরণের ভাবনাচিন্তাও চলছিল। তবে তার আগেই সব শেষ। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালেই প্রাণ যায় ওই তৃণমূল কর্মীর।

প্রাথমিকভাবেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাড়িতে বোমা (Bomb) বাঁধার কাজ চলাকালীনই বিস্ফোরণ ঘটে। তাতেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় হামিরুদ্দিনকে ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে। ফারুক সর্দার সেই সময় ওই বাড়িতে ঠিক কী করছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুইতে (Bagtui) উপপ্রধান খুন হন। এরপর ওইদিন রাতেই গ্রামের একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর নিজেই খোদ বগটুইয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্যজুড়ে পুলিশকে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হয়েছে বহু দুষ্কৃতী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা থেকেও উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। এরপরও বাসন্তীর সর্দারপাড়ার এই বাড়ি থেকে মজুত হওয়া বোমা উদ্ধার করা কেন গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বোমা বিস্ফোরণের পর এখনও থমথমে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চের সর্দারপাড়া।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours