বিরোধীদের আরও দাবি, শুধু নিজের স্ত্রীর চাকরিই নয় ওন্দা ব্লকে আরও একাধিক ব্যক্তির চাকরি হয়েছিল ওই তৃণমূল নেতার হাত ধরেই।

পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। বাঁকুড়া (Bankura) জেলার ওন্দা ব্লকের মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যা পূর্নিমা নন্দী। সরকারি স্কুলে গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ ডি পদের কর্মরত ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই তালিকাতেই নাম রয়েছে পূর্নিমা নন্দীর। তাঁর স্বামী ওন্দা ব্লকের তৃণমূল নেতা লক্ষীকান্ত নন্দী। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে প্রকাশিত সেই তালিকায় ১৫৪০ নম্বরে রয়েছে পূর্ণিমা দেবীর নাম



ব্লকস্তরের তৃণমূল নেতা, তাই প্রভাব খাটিয়ে এই চাকরি পেয়েছিলেন পূর্ণিমা। তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে এই চাকরি হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের আরও দাবি, শুধু নিজের স্ত্রীর চাকরিই নয় ওন্দা ব্লকে আরও একাধিক ব্যক্তির চাকরি হয়েছিল ওই তৃণমূল নেতার হাত ধরেই।

সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সদ্য চাকরি হারা পূর্ণিমা নন্দী দে। চাকরি হারিয়ে কেঁদে ভাসালেন তিনি। পূর্ণিমার দাবি, তিনি পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন। প্রভাব খাটানোর কোনও বিষয় নেই। তাঁর চাকরি যাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। কার্যত বিপর্যয় নেমে এসেছে বলে দাবি পূর্নিমার। একই দাবি করেছেন পূর্নিমার স্বামী তৃণমূল নেতা লক্ষীকান্ত নন্দীও।

চোখ মুছতে মুছতে পূর্ণিমা বলেন, ‘শালবনিতে পরীক্ষার সিট পড়েছিল। পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছিলাম। মেয়ের পড়াশোনার খরচ কীভাবে জোগাব জানি না।’ কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন পূর্ণিমার স্বামী লক্ষীকান্তও। তিনি বলেন, ‘আমি গরিব মানুষের জন্য লড়াই করি। কোনও প্রভাবের ব্যাপার নেই। পূর্ণিমা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। আজ আমরা পথে বসে গিয়েছি। কী করে খাব? মেয়েকে কী করে পড়াব? জানি না। আমরা পথে বসে গিয়েছি।


এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তি বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের। ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি সুবোধ মণ্ডলকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কীভাবে লাইন করেছেন, সেটা ব্যক্তি লক্ষ্মীকান্ত জানেন। সে ব্যাপারে দল কিছু জানে না। আইন তার নিজের পথে চলবে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।’ বিজেপি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সদস্য বিশ্বনাথ দে এই প্রসঙ্গে বলেন, চাকরি পাওয়ার পর সবাই বলেন, ‘যোগ্যতায় পেয়েছি। কিন্তু আসল ঘটনা এখন সামনে আসছে। টাকা দিয়ে যে এভাবে চাকরি হয়, সেটা তো আজ জানা যাচ্ছে।’


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours