WEATHER

Top News


২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের আহ্বায়ক তাপস সাহা বলেন, "ভোট হয়ে গিয়েছে এখানে। সকলেই নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু এখনও এ ধরনের নোংরামি হচ্ছে। আমরা তো সব জেনে গিয়েছি, কী করে ওরা। 

সন্দেশখালির কয়াল তো বলেছেন হাজার হাজার টাকা মদের খরচ দেয় বুথে বুথে। কিছু এখানকারও আছে। বিজেপির টাকা নিয়ে এসব করে বেড়াচ্ছে। আমরা উপযুক্ত তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের শাস্তি হোক সেটাই চাই।"

গোবর লেপে দিয়েছে তৃণমূলের পোস্টারে, হইচই দুর্গাপুরে
এভাবেই নষ্ট করা হয়েছে পোস্টার।

দুর্গাপুর: ভোটের দিন বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে বর্ধমান-দুর্গাপুর। ভোট মিটলেও অশান্তি চলছেই। আসছে নানারকমের অভিযোগও। এবার দুর্গাপুরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সারদাপল্লিতে তৃণমূলের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে এলাকায় একাধিক পোস্টার লাগানো ছিল। সেগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। পোস্টারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। সেখানে গোবর দিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিজেপির দিকেই আঙুল তৃণমূলের। পাল্টা বিজেপির দাবি, এসব তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল।


২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের আহ্বায়ক তাপস সাহা বলেন, “ভোট হয়ে গিয়েছে এখানে। সকলেই নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু এখনও এ ধরনের নোংরামি হচ্ছে। আমরা তো সব জেনে গিয়েছি, কী করে ওরা। সন্দেশখালির কয়াল তো বলেছেন হাজার হাজার টাকা মদের খরচ দেয় বুথে বুথে। কিছু এখানকারও আছে। বিজেপির টাকা নিয়ে এসব করে বেড়াচ্ছে। আমরা উপযুক্ত তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের শাস্তি হোক সেটাই চাই।”


তবে বিজেপি কোনওভাবেই এই অভিযোগ মানতে নারাজ। বরং বর্ধমান দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি এই ধরনের সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয়। আসলে আমাদের একের পর এক ওয়ার্ডে লিড হবে বুঝে ওরা ভয় পাচ্ছে। আর তৃণমূলের ওখানে দু’টো গোষ্ঠী যারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে, নিজেরাই নেত্রীর ছবিতে গোবর দেয়, পোস্টার ছেঁড়ে। এসব করে ওরা বিজেপির ঘাড়ে দোষ দিয়ে বিজেপিকে বদনামের চেষ্টা করে। তবে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ দুর্গাপুরের প্রতিটা বুথেই লিড পাবেন। হারের ভয়ে গোষ্ঠীকোন্দল করে এসব করছে।”


চা বাগানের শ্রমিকদের এমনিই দুর্দশা বারোমাসের। অভাব অনটনের সংসার। দু'পয়সা রোজগারের আশায় অনেক সময়ই ভুল পথে পা বাড়ি ফেলেন কেউ কেউ। অনেক নাবালিকাকে দেওয়া হয় কাজের টোপ। তারাও বাড়িতে না জানিয়েই বেরিয়ে পড়ে মাঝেমধ্যে।


ট্রেনের কামরায় পুলিশে ছয়লাপ, নাবালিকার চোখে চোখ পড়তেই রহস্য ভেদ!
রেল পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক।


জলপাইগুড়ি: কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দিল্লিতে এক নাবালিকাকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। অসমের এক চা শ্রমিকের মেয়েকে দিল্লিতে কাজের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের আরপিএফের স্পেশাল টিম। শুক্রবার সকালে দিল্লিগামী ব্রহ্মপুত্র মেল থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চা বাগানের শ্রমিকদের এমনিই দুর্দশা বারোমাসের। অভাব অনটনের সংসার। দু’পয়সা রোজগারের আশায় অনেক সময়ই ভুল পথে পা বাড়ি ফেলেন কেউ কেউ। অনেক নাবালিকাকে দেওয়া হয় কাজের টোপ। তারাও বাড়িতে না জানিয়েই বেরিয়ে পড়ে মাঝেমধ্যে।

এরকমই এক ঘটনা শুক্রবার ঘটে। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তিনি দিল্লিতে কাজ করেন। সেখানেই নিয়ে যাচ্ছিলেন নাবালিকাকে। তিনি বলেন, “মেয়েটা আমাকে বলেছিল মা বাবাকে জানিয়েছে। আমি দিল্লিতে কাজ করি। ওকেও কাজের জন্যই নিয়ে যাচ্ছিলাম। লোকের বাড়িতে ঘর মোছা, বাসন মাজার কাজ করবে বলে নিয়ে যাচ্ছিলাম।”


জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থানার পুলিশ আধিকারিক বিপ্লব দত্ত বলেন, “আমরা আমাদের এলাকার মধ্যে সবসময় সতর্কতামূলক প্রচার করি। তারপরও এরকম ঘটনা কখনও কখনও ঘটে যায়। আমরা যতটা পারি সবসময় যাত্রীকে সহযোগিতা করি। একটাই কথা বলার কাজের জন্য বা টাকার লোভে কোথাও যাওয়ার আগে একবার খোঁজ করে যান। আর বাড়ির লোককে জানিয়ে যান।”

ডিপ্রেশনে থেকেও জয়ী হওয়া এক জলন্ত উদাহরণ গায়িকা ইমন চক্রবপর্তী। একটা সময় অসম্ভব খারাপ সময় দিয়ে গিয়েছেন এই গায়িকা। তাঁর জীবনের ঘটে যায় একের পর-এক বিপর্যয়। সবটাকে জয় করেছেন ইমন। কিন্তু কেন এত 'নিম্নচাপ' ছিল গায়িকার? কেন তিনি জীবনের যবনিকা পতন ঘটাতে চেয়েছিলেন?

ইমনের সুইসাইড নোট! লেখেন, 'আজই আমার শেষ দিন...'


২০১৬ সালে ছবিতে গান গেয়ে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন বাঙালি গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। সেটিই ছিল তাঁর প্রথম গান। সবচেয়ে অল্প বয়সে প্রথম ছবিতে গান গেয়েই পুরস্কার পাওয়া ইমনের এটা একটা বিরাট বড় কৃতিত্ব। গায়ক এবং সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায় তাঁকে গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন ‘প্রাক্তন’ ছবিতে। তাঁর আগেও ইমন গান গাইতেন। গানের ভিডিয়ো পোস্ট করতেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখান থেকেই ইমনের গান শুনে তাঁকে ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন অনুপম। হাতের চাঁদ পাওয়ার মতো বিষয় ছিল ইমনের কাছে। ছুট্টে গিয়েছিলেন রেকর্ডিং স্টুডিয়োতে। তারপর বাকিটা ইতিহাস। গানটি ছিল ‘তুমি যাকে ভালবাসো’। গানটি এত সুন্দর গেয়েছিলেন ইমন যে, তাঁকে লহমায় সকলে ভালবাসতে শুরু করে দেন। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি গায়িকাকে। কিন্তু এই ইমনের জীবনটাই ছিল কাঁটায় পরিপূর্ণ। একবার একটি মোটিভেশনাল মঞ্চে এসে জীবনের কালো অধ্যায় সম্পর্কে অকপট কিছু কথা বলেছিলেন ইমন। নিয়মিত সুইসাইড নোট লিখতেন তিনি। নিজের জীবনটাকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন এই গায়িকা।

২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইমনের জীবনে ঘটে যায় বিরাট ভূমিকম্প। মাকে তিনি প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসেন। সেই মা হঠাৎ চলে যান ইমনের জীবন থেকে। মা চলে যাওয়ার পর থেকে ইমনের জীবন হয়ে ওঠে কাঁটায় পরিপূর্ণ। মা যতদিন বেঁচে ছিলেন, মেয়েকে সকল কটাক্ষ থেকে রক্ষা করেছিলেন। বাড়িতে বসে ইমন যখন ঘণ্টার পর-ঘণ্টা গানের রেওয়াজ করতেন, পাড়া-প্রতিবেশীরা বলতেন, “কন্যা কি লতা মঙ্গেশকর হবে, সারাক্ষণ হা হা গান করে।” বাবা-মা এবং যৌথ পরিবারের সকল সদস্য তাঁকে সব কটাক্ষ থেকে রক্ষা করেছিলেন। মায়ের মৃত্যুর পর বাস্তবের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইমন। বন্ধুবান্ধব, এমনকী ইমনের তৎকালীন প্রেমিকও হাত ছেড়ে দিয়েছিলেন। ব্রেকআপ হয়েছিল গায়িকার। ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন ইমন। ডাইরির পাতা খুলে নিয়মিত সুইসাইড নোট লিখতে। লিখতেন, “আজই আমার শেষ দিন। এই মুহূর্তটা আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত।”




আইপিএলের ১৭তম মরসুম শেষ হলেই শুরু হয়ে যাবে টি-২০ বিশ্বকাপ। এখন থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রেমীরা টুর্নামেন্টের হাইভোল্টেজ ম্যাচের অপেক্ষায় রয়েছেন। ৯ জুন সেই মহারণ। তার আগে ফের হাজির বিশ্বকাপের সময় সেই বহু জনপ্রিয় মওকা মওকা ভিডিয়ো। এ বার রয়েছে বিশেষ চমক।


 পাক ফ্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ভারতের সমর্থক! কারণ জানলে হাসি পাবেই...
 পাক ফ্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ভারতের সমর্থক! কারণ জানলে হাসি পাবেই...

টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন একাধিক ক্রিকেট প্রেমী। শিয়রে কড়া নাড়ছে আইসিসির এই মেগা টুর্নামেন্ট। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের আগেই এক পাক ফ্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ভারতের সমর্থক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। অনেকেই ভাবতে পারেন, পাকিস্তানি ভক্তর কাছে ক্ষমা কি সত্যিই চেয়েছেন ভারতের এক সমর্থক? হ্যাঁ এটাই সত্যি। ভিডিয়ো না দেখলে আপনারও বিশ্বাস হবে না।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম মরসুম শেষ হলেই শুরু হয়ে যাবে টি-২০ বিশ্বকাপ। এখন থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রেমীরা টুর্নামেন্টের হাইভোল্টেজ ম্যাচের অপেক্ষায় রয়েছেন। ৯ জুন সেই মহারণ। তার আগে ফের হাজির বিশ্বকাপের সময় সেই বহু জনপ্রিয় মওকা মওকা ভিডিয়ো। যা নিয়ে আলোচনা চলে ক্রিকেট প্রেমীদের মুখে মুখে।


সবই তো হল, কিন্তু পাক সমর্থকের কাছে কেন ক্ষমা চাইলেন ভারতের ভক্ত? এ বার সেই বিষয়ে আসা যাক। স্টার স্পোর্টসের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে একটি ১ মিনিটের ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে ভারতের সমর্থক হিসেবে দেখানো হয়েছে রতন নামের এক ব্যাক্তিকে। আর পাকিস্তানের সমর্থক হিসেবে দেখানো হয়েছে আলতাফ নামের এক সমর্থককে।

ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ভারতের রতন কখনও পাকিস্তানের আলতাফকে ধোনির জার্সি উপহার হিসেবে পাঠান। কখনও আবার টিভি ভাঙার জন্য হাতুড়ি উপহার পাঠান। কখনও আবার নুন পাঠান (ওই যে কথায় বলে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে— তার জন্য)। ২০২১ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট টিমকে পাকিস্তান হারায়। যার ফলে স্কোর দাঁড়ায় ভারতের পক্ষে ৫-১। সেই সময় পাক সমর্থককে এক বাক্স বাজি পাঠান ভারতের ফ্যান। পরের বছর ফের ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির ব্যাটে ভর করে জেতে। তাই ২০২২ সালে পাক ভক্তকে ছোলে-ভাটুরে পাঠান ভারতের ফ্যান।


এ বার বিশ্বকাপের আগে আলতাফকে একটি চিঠি পাঠান রতন। সেখানে লেখেন, ‘অনেক ছেলেমানুষি হয়েছে। দেখা করতে চলে এসো। আমি ক্ষমা চাইব। সময় খুব কম।’ এরপর দেখা যায় জিনিস পত্র প্যাক করে রতনের বাড়িতে হাজির আলতাফ। এসেই তিনি রতনকে সরি বলতে বলেন। রতন সরি বলেও দেন। সেই সময় আলতাফ বলেন, ‘ঠিক আছে যা হয়েছে, তার জন্য ক্ষমা করলাম।’ সঙ্গে সঙ্গে রতন বলেন, ‘না না আমি ক্ষমা চাইলাম যেটা হতে চলেছে তার জন্য। ৯ জুন রে…।’ এরপর রতন খুশিতে নাচতে থাকেন, যা থেকে বোঝা যায় তিনি বলতে চাইছেন, আসন্ন বিশ্বকাপেও ভারত মাত দিতে চলেছে পাকিস্তানকে।

আইপিএল 2024: রোহিত ভরসা দিলেও বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা স্কাই ফিরলেন খালি হাতেই। তিন বল স্থায়ী হয় তাঁর ইনিংস। অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া বল হাতে ২ ওভারে দেন ২৭ রান। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ১৬ রান। পুরো টুর্নামেন্টেই হার্দিকের যা পারফরম্যান্স, টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সিতে ফর্মে ফিরবেন তো? এই প্রশ্নটাই যেন ঘুরছে।

হার দিয়ে মরসুম শেষ মুম্বইয়ের, বিশ্বকাপের আগে দেশের প্রাপ্তি হিটম্যান শো
হার দিয়ে মরসুম শেষ মুম্বইয়ের, বিশ্বকাপের আগে দেশের প্রাপ্তি হিটম্যান শো


কলকাতা: সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup)। মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্লে-অফের দৌড় থেকে অনেক আগেই ছিটকে গিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI)। জটিল অঙ্কে লখনউ সুপার জায়ান্টস। দু-দলের কাছেই লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটা ছিল শুধুই মর্যাদার। তবে ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা প্লেয়ারদের কাছে এটি প্রস্তুতি ম্যাচের মতোই। শেষ ম্যাচে ১৮ রানের জয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের (LSG)। মুম্বইয়ের প্রাপ্তি নমন ধীরের মতো তরুণ ব্যাটারের অনবদ্য ইনিংস। ভারতের প্রাপ্তি হিটম্যান শো।

ওয়াংখেড়েতে টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর কাছে হতাশার মরসুম। নানা দিক থেকেই। শেষ মুহূর্তে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফিরেছিলেন। আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম জার্সি গায়ে চাপিয়ে বলতে পেরেছিলেন, ঘরের ফেরার অনুভূতি হচ্ছে তাঁর। হার্দিককে মন থেকে যেন স্বাগত জানাতে পারেননি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সমর্থকরা। নানা ম্যাচেই বিদ্রুপের সামনে পড়তে হয়েছে। তাঁর কাছে সুযোগ ছিল ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্বে সকলের মন জেতার। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

বোলিংয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। ১০ ওভারের মধ্যেই ৬৯ রানে প্রতিপক্ষের তৃতীয় উইকেট নেওয়া ভালো দিক। যদিও ১৫ ওভারের পর ইনিংসের রূপ বদলে দেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। নিকোলাস পুরান আরও একটা অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল হাফসেঞ্চুরি করলেও ইনিংসের গতি বাড়াতে পারেননি। পুরান মাত্র ২৯ বলে ৭৫ রান করেন। শেষ অবধি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ২১৫ রানের বিশাল টার্গেট দেয় লখনউ।


মুম্বই বোলিং লাইন আপে এই ম্যাচে বদল হয়েছিল। নিয়মরক্ষার ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় জসপ্রীত বুমরাকে। তাঁর পরিবর্তে বাঁ হাতি পেসার অর্জুন তেন্ডুলকর মরসুমের প্রথম ম্যাচ খেললেন। প্রথম স্পেলে ২ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়েছিলেন সচিনপুত্র। কিন্তু স্লগ ওভারে অস্বস্তিতে পড়লেন। রান আপেই অস্বস্তিতে দেখায়। দুটো ডেলিভারি, নিকোলাস পুরান পরপর দুটি ছয় মারেন। চোটের জন্য ওভার সম্পূর্ণ করতে পারেননি।

বোর্ডে ২১৫ রানের টার্গেট। ব্যাটিং কম্বিনেশনেও বদল আনে মুম্বই। রোহিতের ওপেনিং পার্টনার ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। ভারতীয় শিবিরে স্বস্তি রোহিত শর্মার পারফরম্যান্স। এ মরসুমে একটি সেঞ্চুরি ছিল। বাকি ম্যাচে ছন্দে দেখায়নি। বিশ্বকাপের আগে জ্বলে উঠলেন হিটম্যান। মাত্র ৩৮ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। স্ট্রাইকরেট প্রায় ১৭৯! শুধু তাই নয়, ১০টি বাউন্ডারি এবং তিনটি ছয়।

রোহিত ভরসা দিলেও বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা স্কাই ফিরলেন খালি হাতেই। তিন বল স্থায়ী হয় তাঁর ইনিংস। অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া বল হাতে ২ ওভারে দেন ২৭ রান। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ১৬ রান। পুরো টুর্নামেন্টেই হার্দিকের যা পারফরম্যান্স, টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সিতে ফর্মে ফিরবেন তো? এই প্রশ্নটাই যেন ঘুরছে।


প্রথমে আসা যাক অঙ্কে। চেন্নাই সুপার কিংসের রয়েছে ১৪ পয়েন্ট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ১২ পয়েন্ট। দু-দলেরই শেষ ম্যাচ। চেন্নাই জিতলে তারাই প্লে-অফে যাবে। আরসিবি জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৪। অর্থাৎ চেন্নাইয়ের সমান। এখানেই নেট রান রেটের অঙ্ক। 

অঙ্ক, বিরাট-আবেগের ম্যাচে 'মাহি'ন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা; আশঙ্কা আবহাওয়া


কোন বিষয়টা নিয়ে বেশি লেখা উচিত! অঙ্ক, আবেগ নাকি আবহাওয়া? এই তিনটেই আজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এ মরসুম এক শেষ পর্বে। লিগের শেষ ধাপ চলছে। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই সুপার কিংস। এ বারের আইপিএল শুরু হয়েছিল দক্ষিণী ডার্বি দিয়েই। চেন্নাইয়ের মাঠে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল সুপার কিংস। এ বার ফিরতি ম্যাচ। প্লে-অফের দৌড়ে ভার্চুয়াল কোয়ার্টার ফাইনালও বলা যায়।


প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শীর্ষস্থানও নিশ্চিত করেছে কেকেআর। প্লে-অফে আরও দুটি দল রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বাকি রয়েছে একটি মাত্র স্পট। দৌড়ে রয়েছে দুটি দল। চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আর এই ম্যাচই ঠিক করে দেবে প্লে-অফে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখা যাবে নাকি বিরাট কোহলিকে। আশঙ্কা আবহাওয়াও।

প্রথমে আসা যাক অঙ্কে। চেন্নাই সুপার কিংসের রয়েছে ১৪ পয়েন্ট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ১২ পয়েন্ট। দু-দলেরই শেষ ম্যাচ। চেন্নাই জিতলে তারাই প্লে-অফে যাবে। আরসিবি জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৪। অর্থাৎ চেন্নাইয়ের সমান। এখানেই নেট রান রেটের অঙ্ক। সিএসকের নেট রান রেট +0.528। অন্য দিকে, আরসিবির নেট রান রেট +0.387। ফলে আরসিবিকে শুধু জিতলেই হবে না, নেট রান রেটেও ছাপিয়ে যেতে হবে চেন্নাই সুপার কিংসকে। এই অঙ্কটাই বলা প্রয়োজন।


চেন্নাইয়ের নেট রান রেট ছাপিয়ে যেতে আরসিবিকে অন্তত ১৮ রানের ব্যবধানে (ধরা যাক আরসিবি ২০০ রান করল) জিততে হবে। ধরা যাক আরসিবিকে রান তাড়া করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ১৮ ওভারের মধ্যেই রান তাড়া করে জিততে হবে। খুবই কঠিন অঙ্ক। সব কিছুর হিসেব মিলবেই, বলা যায় না। এ বার আশঙ্কার কথায় আসা যাক। বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায়? ম্যাচ না হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে জায়গা করে নেবে চেন্নাই সুপার কিংস। আর ১৩ পয়েন্ট নিয়ে এ বারের মতো মরসুম শেষ করবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এ বার আবেগ প্রসঙ্গ। মাহি-রাট। এটাই কি শেষ সাক্ষাৎ হতে চলেছে? মহেন্দ্র সিং ধোনি সরকারি ভাবে জানাননি, এটাই তাঁর শেষ আইপিএল। তবে মরসুমের শুরুতেই নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া, পুরনো লুকে ফেরা অনেক ইঙ্গিত বহন করে। হতেই পারে, চেন্নাই সুপার কিংস ছিটকে গেলে ধোনি ঘোষণা করে দিলেন, এটাই তাঁর শেষ ম্যাচ ছিল! ধোনি সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করেন। এমন সারপ্রাইজ হয়তো কোনও ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীই চাইবেন না। কিন্তু মাহিকে বোঝা কঠিন।

চারিদিকে তাই আবেগের আবহ। এই ম্যাচ নিয়ে নানা হাইপ। তা একেবারেই ফেলনা নয়। মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে পারেন, হাঁটতে পারেন। তবে এক টিমে আর তাঁদের দেখা যাবে না। প্রতিপক্ষ হিসেবেও যদি শেষ ম্যাচ হয়? আশঙ্কা তো এটাও! আর এমন একটা মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর প্রার্থনা যেন মাহি মারুক, প্লে-অফে পৌঁছক বেঙ্গালুরু। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের সৌজন্যে যেমন প্রথম ট্রফি এসেছে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ট্রফিটাও আসুক কিং কোহলির হাতে। তার জন্য আবেগ, অঙ্ক এবং আশঙ্কার এই ম্যাচ যে জিততেই হবে!

আগামী ২০ মে (সোমবার) বিকেল পাঁচটার মধ্যে শোকজ় নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে। আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, সেই বিষয়ে জবাব তলব করা হয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে।


বিপাকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! মমতাকে নিয়ে 'কুমন্তব্যের' অভিযোগে পদক্ষেপ কমিশনের
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে শোকজ় নোটিস পাঠাল কমিশন। আগামী ২০ মে (সোমবার) বিকেল পাঁচটার মধ্যে শোকজ় নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে। আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, সেই বিষয়ে জবাব তলব করা হয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে।


আগামী ২৫ মে ভোট রয়েছে তমলুকে। ভোটের ঠিক মুখে এই শোকজ নোটিসের জেরে বিপাকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, শোকজ়ের জবাব সন্তোষজনক না হলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে শোকজ় নোটিসে এও বলা হয়েছে, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিজেপি প্রার্থীর থেকে কোনও জবাব না আসে, তাহলে ধরে নেওয়া হবে এই বিষয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কিছু বলার নেই। সেক্ষেত্রে কমিশন নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা পদক্ষেপ করতে পারে।


উল্লেখ্য, গত ১৫ মে হলদিয়ার এক জনসভা থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করে ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। সেই নিয়ে গতকালই কমিশনের অফিসে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল শিবির। সেই অভিযোগ প্রাপ্তির পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। শোকজ় নোটিস পাঠানো হল তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। নির্বাচন কমিশন সঙ্গে এও জানিয়েছে যে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে যাচাই করে প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে ওই মন্তব্য আপত্তিকর এবং আদর্শ আচরণবিধি ও কমিশনের অ্যাডভাইজরির পরিপন্থী।


এসব দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যাপারে ওড়িশা পথিকৃত্‍। সে রাজ্যের কাজ দেখে শেখার মতো। মৌসম ভবন ঘূর্ণিঝড়ের নিখুঁত পূর্বাভাস দেওয়ায়, অনেক আগেই লোকজনকে নিরাপদে সরানোর সুযোগ পাওয়া যায়। এই কাজটা সুচারু ভাবে করে ওড়িশা সরকার। ফলে প্রবল প্রতাপশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও ওড়িশায় মৃতের তালিকা কখনই লম্বা হয় না।

এ বছর বজ্রপাতে ৩০ জনের মৃত্যু বাংলায়, পূর্বাভাস নিয়ে প্রচারে খামতিই কি দায়ী?
প্রতীকী চিত্র।


 বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। এর আগে ৬ মে-র দুর্যোগেও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল রাজ্যে। যার মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু বজ্রপাতে। দু’দিনই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু জরুরি প্রশ্ন হল, দুর্যোগের আগে রাজ্য সরকার কাজের কাজটা কি করেছিল? গ্রীষ্মকালে বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টি নামে, ঝড় ওঠে। বজ্রগর্ভ মেঘে বাজ পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। উল্লম্ব বজ্রগর্ভ মেঘ যত উঁচু হবে, তত বেশি বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা। বছর বছর বজ্রপাত বাড়ছে কি না, সেটা মৌসম ভবন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার বিষয়। গবেষণা করলে উত্তর পাওয়া যাবে। কিন্তু বজ্রপাতে মৃত্যু যে বাড়ছে, সেটা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। চলতি মাসেই অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু বাংলায়। চলতি বছরে সংখ্যাটা অন্তত ৩০। এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুন একদিনেই বজ্রপাতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল রাজ্যে। এটা পরীক্ষিত সত্য, আজকাল ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে বজ্রপাত, ঝড়-বৃষ্টিতে মৃত্যু অনেক বেশি।


ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু কমানো গেলে, বজ্রপাতে তা সম্ভব হচ্ছে না কেন? খামতি কোথায়?

ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখলে অন্তত ৫ দিন আগে থেকে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া দফতর। বজ্রপাতের আশঙ্কায় হলুদ, কমলা সতর্কতা জারি করে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের কাজ পূর্বাভাস জানানো। এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, গত কয়েক বছরে হাওয়া অফিসের সেই কাজে বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি হয়নি। রাজ্য সরকারের, বিশেষ করে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাজ, সেই পূর্বাভাস সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা। বজ্রাঘাতে মৃত্যু ঠেকাতে মানুষকে সচেতন করা।


কী করবেন, কী করবেন না, সেটা বলাও কাজ রাজ্যের এবং সেটা বারবার বলা। গত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, বজ্রপাতে মৃত্যু বেশি গ্রামাঞ্চলে। যার মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যু হয় চাষের জমিতে। চাষের কাজ বা গরু-ছাগল চরাতে গিয়ে দুর্যোগের মধ্যে পড়ে মৃত্যু। ৬ মে রাজ্যে যে ৯ জন বজ্রপাতে মারা গিয়েছিলেন, তারাও জেলার। পূর্ব বর্ধমানের পাঁচ জন, ২ করে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়ার বাসিন্দা। গতকাল যাঁরা মারা গেলেন, তাঁদের ১১ জন মালদহের, একজন মুর্শিদাবাদের, একজন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। জেলায় জেলায় কি সচেতন করার কাজটা করেছিল রাজ্য প্রশাসন?

এটা একদিনের অভ্যাস নয়। বছরভরের পরিকল্পনায় থাকা উচিত। পরিকল্পনা আমরা দেখতে পাই কি? এই যে মার্চের শেষে ময়নাগুড়িতে ঝড়-বৃষ্টিতে চার জনের মৃত্যু হল। তখনও এই প্রশ্নটা উঠেছিল। সে সময় টর্নেডোর পূর্বাভাস হয়তো ছিল না। সেটা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি, কালবৈশাখীর পূর্বাভাস ছিল। সেই সময় সাবধানে থাকার কথা কি বিশেষ ভাবে প্রচার করেছিল রাজ্য সরকার? করলে হয়তো একটা বা দুটো প্রাণহানি এড়ানো যেত।

এসব দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যাপারে ওড়িশা পথিকৃত্‍। সে রাজ্যের কাজ দেখে শেখার মতো। মৌসম ভবন ঘূর্ণিঝড়ের নিখুঁত পূর্বাভাস দেওয়ায়, অনেক আগেই লোকজনকে নিরাপদে সরানোর সুযোগ পাওয়া যায়। এই কাজটা সুচারু ভাবে করে ওড়িশা সরকার। ফলে প্রবল প্রতাপশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও ওড়িশায় মৃতের তালিকা কখনই লম্বা হয় না। অথচ বাংলায় আমপানে কিন্তু অন্তত একশো জনের মৃত্যু হয়েছিল। কোথাও তো খামতি রয়েছে! সাধন পাণ্ডে মন্ত্রী থাকাকালীন সবাইকে ক্রেতাসুরক্ষা দফতর চিনিয়ে দিয়েছিলেন। এই দফতরটাও যে আছে, এটাই অনেকে জানত না। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও যে আছে, সেটা বোঝানোর দায় বা দায়িত্ব কি সরকার নিতে পারে না?

বজ্রাঘাত থেকে বাঁচতে কী করবেন? কয়েকটা প্রাথমিক উপায় জেনে রাখা ভাল

এক, আবহাওয়া খারাপ হতে দেখলেই কংক্রিটের আস্তানায় ঢুকে পড়তে হবে।

দুই, বিদ্যুতের ঝলক দেখা আর শব্দ শোনার মধ্যে যদি ৩০ পর্যন্ত গুনতে না পারেন, তাহলে অন্তত ৩০ মিনিট বাইরে বেরোবেন না। এর মানে আরও বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

তিন, গাছ বা উঁচু রডের নীচে, খোলা মাঠে, নৌকায়, পাহাড়ের মাথায় বা সৈকতে নয়

চার, পাইপবাহিত জল, জানালার রড, এমন বিদ্যুত্‍ পরিবাহী কিছু স্পর্শ করবেন না।

আশপাশে বজ্রপাতের আশঙ্কা কতটা, মৌসম ভবনের দামিনী অ্যাপে প্রতি মুহূর্তের তথ্য দেয়।

নিজে শিখুন, অন্যকেও সেখান। না হলে বৃষ্টির স্বস্তির মধ্যে বজ্রপাতের প্রাণ কাড়ার ঘটনা চলতেই থাকবে।

বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁরা যখন ঘাটকোপার দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় দমকা হাওয়ায় উপর থেকে ২৫০ টনের বিশালাকার বিলবোর্ডটি তাদের গাড়ির উপরে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার ৫৬ ঘণ্টা পরে, বুধবার বিলবোর্ডের নীচ থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়।


ঘণ্টার পর ঘণ্টা শশ্মানে বসে কার্তিক আরিয়ান, পরিবারের একসঙ্গে দুই সদস্যকে হারালেন
কার্তিক আরিয়ান।

 দমকা হাওয়া, ঝড় উঠতেই ভেঙে পড়েছিল বিশাল বিলবোর্ড। আর তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৬ জনের। সোমবার বিকেলে মুম্বইয়ের ঘাটকোপারে বিশাল ১২০ x ১২০ ফুটের যে বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে, তার নীচে চাপা পড়ে মৃত্য়ু হয়েছে বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের দুই আত্মীয়েরও। তাঁদের শেষকৃত্য়ে দেখা যায় কার্তিক আরিয়ানকে।


জানা গিয়েছে, কার্তিক আরিয়ানের কাকা মনোজ চানসোরিয়া ও কাকি অনিতাও মুম্বইয়ের ভেঙে পড়া বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান। গত ১৩ মে তাঁরা মুম্বই থেকে জব্বলপুরে ফিরছিলেন। ছেলে আমেরিকায় থাকে, তাঁর কাছে যাওয়ার জন্যই ভিসা করাতে মুম্বইয়ে এসেছিলেন দম্পতি।

বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁরা যখন ঘাটকোপার দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় দমকা হাওয়ায় উপর থেকে ২৫০ টনের বিশালাকার বিলবোর্ডটি তাদের গাড়ির উপরে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার ৫৬ ঘণ্টা পরে, বুধবার বিলবোর্ডের নীচ থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়। ততক্ষণে দেহে পচন ধরতে শুরু করেছিল বলেই জানা গিয়েছে।



শশ্মানে কার্তিক আরিয়ান।

তাঁদের ছেলে যশ জানান, বিকেল থেকে মা-বাবার ফোন না পেয়েই দুশ্চিন্তা শুরু হয়। মুম্বইয়ে পরিচিত ও আত্মীয়দের ফোন করতে থাকেন। নিজেও রাতের ফ্লাইট ধরে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন। শেষে পুলিশের সহায়তায় তাঁদের লোকেশন ট্রাক করে দেখা যায়, শেষ লোকেশন ছিল ঘাটকোপারে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দুর্ঘটনাস্থল খোঁজার পর তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়।

বৃহস্পতিবার তাদের শেষকৃত্য় সম্পন্ন হয়। শশ্মানে ছিলেন অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানও। শেষকৃত্য না হওয়া পর্যন্ত তিনি শশ্মানেই ঠায় বসেছিলেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে রাত ৮ টা নাগাদ স্বামীর স্কুটিতেই বাড়ি ফিরছিলেন জলপাইগুড়ি ৫ নম্বর ঘুমটি এলাকার বাসিন্দা ঝুমা চন্দ। পথে আনন্দ পাড়া সংলগ্ন শিলিগুড়ি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় থাকা একটি মন্দিরের সামনে দাঁড়ান তাঁরা। সেই সময় এক যুবক এগিয়ে আসেন তাঁদের দিকে।

 বাড়ি থেকে বেরতেই ভয় পাচ্ছেন মহিলারা! কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহরে একই ঘটনা ৩ জায়গায়
অভিযোগকারী মহিলা

 কয়েক ঘন্টার মধ্যে পরপর একই ঘটনা। শহরের বুকে তিনজন মহিলার গলা থেকে টেনে নেওয়া হল সোনার হার। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শান্ত এলাকায় পরপর একই ঘটনা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শহরের মহিলারা।


ঘটনা ১: শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে রাত ৮ টা নাগাদ স্বামীর স্কুটিতেই বাড়ি ফিরছিলেন জলপাইগুড়ি ৫ নম্বর ঘুমটি এলাকার বাসিন্দা ঝুমা চন্দ। পথে আনন্দ পাড়া সংলগ্ন শিলিগুড়ি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় থাকা একটি মন্দিরের সামনে দাঁড়ান তাঁরা। সেই সময় এক যুবক এগিয়ে আসেন তাঁদের দিকে। অভিযোগ, মহিলার গলা থেকে ১৩ গ্রাম ওজনের সোনার হার টান মেরে ছিনিয়ে নেন ওই যুবক। শুধু তাই নয়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিছন থেকে একটি বাইক নিয়ে এগিয়ে আসেন আরও এক যুবক। ছিনতাইকারী ওই বাইকে উঠে ঘুমটি এলাকার দিকে পালিয়ে যান বলে দাবি ঝুমার। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

ঘটনা ২: জলপাইগুড়ির ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুক্লা নাগ (৪৭)। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি তাঁর বাড়ির সামনে সান্ধ্য ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। আচমকাই বাইক নিয়ে হাজির হন দুই যুবক। কথা বলার অছিলায় মহিলার গলায় থাকা প্রায় ১১ গ্রামের সোনার হার ছিনতাই করে নিয়ে তাঁরা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। তিনিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।


ঘটনা ৩: অন্যদিকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পাড়ার বাসিন্দা পূর্ণিমা সিনহা। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কান্তেশ্বরী মন্দিরের কাছে বাইকে করে দুই যুবক এসে দেড় ভড়ি ওজনের গলার হার ছিনতাই করে পালান বলে অভিযোগ। তিনিও কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।

জলপাইগুড়ি পুরাতন দমকল কেন্দ্র এলাকার বাসিন্দা কিংশুক বোস বলেন, বেশ কয়েকবছর আগে এইরকম ঘটনা ঘটছিল। কিন্তু তারপর কয়েক বছর এই জাতীয় ঘটনার খবর পাইনি। আবার মাস খানেক ধরে এই জাতীয় খবর পাওয়া যাচ্ছে।

 নন্দীগ্রামের রেজাল্ট নিয়ে মন্তব্য করার সময় গতকাল মমতার গলায় শোনা গিয়েছে 'বদলার' কথা। বলেছিলেন, 'আমি আজ না হয় কাল, বদলা তো নেবই।' তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই মন্তব্যের এবার পাল্টা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

মমতা বলেছিলেন 'বদলা তো নেবই', এবার পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দুও
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও শুভেন্দু অধিকারী


পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে বলেছেন, নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করেছেন। একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। নন্দীগ্রামে ভোটের ফল নিয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। আদালতে ইলেকশন পিটিশনও ফাইল হয়েছে। নন্দীগ্রামের রেজাল্ট নিয়ে মন্তব্য করার সময় গতকাল মমতার গলায় শোনা গিয়েছে ‘বদলার’ কথা। বলেছিলেন, ‘আমি আজ না হয় কাল, বদলা তো নেবই।’ তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই মন্তব্যের এবার পাল্টা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


এদিন সন্ধেয় নাম না করে তৃণমূল নেত্রীকে পাল্টা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এক জনসভা থেকে বলেন, “এত ক্রোধ, প্রতিহিংসা আমার উপরে। কারণ কী জানেন?… ১৯৫৬-র জ্বালা (নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয়ের ব্যবধান)। এ জ্বালা মেটার নয়। বলছে, লোডশেডিং করে ভোটে জিতেছে… দেখে নেব, বদলা নেব। আরে কী বদলা আপনি নেবেন! আমি যদি মেদিনীপুরের ছেলে হই, আপনাকে প্রাক্তন করব।”

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এক হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের এপিসেন্টার হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী। দুই হেভিওয়েটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত মুখের হাসি চওড়া হয়েছিল শুভেন্দুর। পরে ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হন মমতা।


বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ভোটের ফলাফল নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার বার উঠে এসেছে লোডশেডিং-এর তত্ত্ব। গতকালও পূর্ব মেদিনীপুরের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো এই ইস্য়ুতে সরব হয়েছেন।

সঠিকভাবে বলে উঠতে পারেন না তিনি ঠিক কী করতে চান, তাঁদের উদ্দেশে লগ্নজিতা এবার স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন, ভুলটা কোথায়। যে ভুল তিনিও করে থাকেন বলে সকলের সামনে দাবি করেন। কী সেই ভুল? 

'আমি এটা করি না', নিজের কোন খামতির কথা স্বীকার করলেন লগ্নজিতা?


ছকভাঙা গানে যিনি বারবার সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছেন, তাঁর গান নিয়ে কেরিয়ার তৈরি প্রসঙ্গে রয়েছে এক বিশেষ উপদেশ। অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা গান ভালবেসে কেরিয়ার তৈরি করতে চান, কিন্তু পরিবারকে হয়তো নিজের মনের ইচ্ছের কথা বুঝিয়ে উঠতে পারেন না। সঠিকভাবে বলে উঠতে পারেন না তিনি ঠিক কী করতে চান, তাঁদের উদ্দেশে লগ্নজিতা এবার স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন, ভুলটা কোথায়। যে ভুল তিনিও করে থাকেন বলে সকলের সামনে দাবি করেন। কী সেই ভুল?


জোশ টক-এ লগ্নজিতা এই প্রসঙ্গে বলেন– 


একদিন আমি আর আমার বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম, যে কেউ যদি চাকরি সূত্রে দিনে ছয় ঘণ্টাও কাজ করে, যদি কারও শনিবার ছুটিও থাকে, তাহলে হিসেব করলে দেখা যায় ৩০ ঘণ্টা তাঁদের কাজ করতে দেখা যায়। সে চেয়ে হোক, না চেয়ে হোক। আমরা যাঁরা বলি, ও, আমরা তো মিউজিক করতে এসেছি, তাঁরা কি সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা মিউজিককে সময় দিই? এই সময়টা দিই? না, আমি দিই না। আমি সেটা জানি। এবং আমি এমন অনেক লোকজনকে জানি, যাঁরা সেটা দেয় না। এমন প্রচুর লোকজনকে আবার জানিও, যাঁরা সেই সময়টা দেয়। আমি তো ক্লাসিক্যাল সিঙ্গারদের কথা বলছিই না। আমি আমার মতো পপ সিঙ্গারদের কথা বলছি। তাই আমার মনে হয় যেটাই করতে চাই, দিনে তার পিছনে একটা নির্দিষ্ট সময় দেওয়া উচিত। এবং সপ্তাহের শেষে একটা খাতা পেনসিল নিয়ে বসা, আমি সত্যিই কতটা সময় দিলাম। আমি যে মা-বাবাকে গিয়ে বলব, আমি পড়াশুনা করতে চাই না, আমি এটা করতে চাই, সেটা বোঝানোর জন্য তো মা-বাবাকে দেখাতে হবে, এটার পিছনে সময়টা দিচ্ছি। সেই শ্রমটা কি আমি সত্যি দিচ্ছি? সেই শ্রমটা যদি আমি সত্যি দিতে পারি, তবে আমার মনে হয়, মা-বাবাকে বোঝানোটা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। আমি চাই সবাই সময় সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠুক।

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে রোজ ওষুধ খেতে হবে। আর একদিন প্রেশারের ওষুধ বাদ দিলেই আপনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপের জেরে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আজকের এই ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে’তে জেনে নিন এই রোগ প্রতিরোধের উপায়।

রোজের কোন ভুলে নিশ্চুপে বাড়ছে ব্লাড প্রেশার? সতর্ক করলেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা


 চলতি ভাষায় আমরা যাকে ‘হাই ব্লাড প্রেশার’ নামে চিনি। এই প্রেশার প্রাণঘাতীও বটে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে রোজ ওষুধ খেতে হবে। আর একদিন প্রেশারের ওষুধ বাদ দিলেই আপনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপের জেরে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আজকের এই ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে’তে (World Hypertension Day) কেন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হানা দেয় এবং কীভাবে এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, তারই খুঁটিনাটি রইল এখানে।


বিএম বিড়লা হার্ট হাসপাতালের কার্ডিয়োলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ সব্যসাচী পাল হাইপারটেনশনের পিছনে কয়েকটি লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরকে দায়ী করেছেন। এর মধ্যে ব্যায়াম থেকে শুরু করে ওবেসিটি, ধূমপানের মতো বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ডাঃ সব্যসাচী পালের কথায়, নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু প্রতিদিন অ্যারোবিক ব্যায়াম করে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত যাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অন্যদিকে, শরীরের ওজন বেড়ে গেলে, ওবেসিটিতে ভুগলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় ওবেসিটির জেরে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মুখোমুখি হতে হয়। এখান থেকেও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

ডাঃ সব্যসাচী পাল হাইপারটেনশনের বিরুদ্ধে দায়ী করেছেন প্রিজারভেটিভ, চিনি ও নুন দেওয়া প্রক্রিয়াজাত খাবারকে। এতে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরি, সোডিয়াম থাকে। এগুলো উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে ফাস্ট ফুড ছেড়ে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করা জরুরি। হাইপারটেনশনের ঝুঁকি এড়াতে ডাঃ পাল ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকা পরামর্শ দিয়েছেন। এই লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরগুলো ছাড়াও আরেকটি বিষয়কে হাইপারটেনশনের জন্য দায়ী করেছেন ডাক্তারবাবু। স্ট্রেস বা মানসিক চাপও উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। মানসিক চাপ কমিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।