রামোজি রাওয়ের মৃত্যু ভীষণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে পরিচালক-প্রযোজক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে। রামোজির মৃত্যুর একসপ্তাহ পর 
 ডিজিটালের জন্য কলম ধরলেন শিবপ্রসাদ। ঋণীর স্বীকার করলেন। বললেন, "আজ আমি যা হতে পেরেছি, সব এই লোকটার জন্য..."



জামাই হাউ আর ইউ?' রামোজি রাও-এর স্মৃতিতে ডুবলেন 'জামাই' শিবপ্রসাদ
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।



নীতীশদা (নীতীশ রায়–রামোজি ফিল্ম সিটি তৈরি হয় তাঁর নির্দেশনাতেই) আর নন্দিতাদি (নন্দিতা রায়–নীতীশের স্ত্রী, ইটিভি বাংলার জন্ম লগ্নের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং পরবর্তীতে চলচ্চিত্র পরিচালক) না থাকলে রামোজি রাও কে কিংবা রামোজি ফিল্ম সিটি কী, জানাই হত না আমার। রামোজি রাও যে বাংলা ছবিটি প্রথম প্রযোজনা করেছিলেন, সেই ছবির নায়ক ছিলাম আমি। ছবির নাম ‘জামাই নম্বর ওয়ান’। নীতীশদাই ছিলেন ছবির পরিচালক। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন, রামোজি রাওয়ের নজরে আমি ছিলাম কেবলই এক নায়ক। এক অভিনেতা। এই নায়ক কীভাবে আগামীকালের পরিচালক হয়ে উঠল, তার নেপথ্যে রামোজির কতখানি হাত, সেটাই আজ বলতে ইচ্ছা করছে খুব। যেদিন তিনি মারা গেলেন (রামোজি রাওয়ের মৃত্যু হয়েছে একসপ্তাহ আগে। দিনটা ছিল শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪), সেদিনই আমি একটি পোস্ট করেছিলাম ফেসবুকে। তাও যেন মনের মধ্যে থেকে বোঝাটা নামাতে পারছিলাম না। তারপর আপনাদের দফতরের ফোনটা পেলাম। মানুষটাকে নিয়ে লেখার আরও একটা প্ল্যাটফর্ম পেয়ে নিজেকে উজাড় করে দিতে ইচ্ছা করল খুব। শুনুন তবে…

তখন আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনের ছাত্র। লেখাপড়ায় মন্দ ছিলাম না। বাড়ির সকলে আমার থেকে অনেককিছু আশা করে বসেছিলেন। বাবা-মা, প্রত্যেকে চাইতেন ছেলে তাঁদের ইউপিএসসি-ডব্লিউবিএসসি পরীক্ষায় সুযোগ পেয়ে দেশের হাল ধরুক। কিন্তু ছেলের সেই সবের বালাই ছিল না। সে চাইত স্রেফ একটা চাকরি। যে চাকরি করতে-করতেও ছেলেটা সিনেমা তৈরির প্রস্তুতি নিতে পারবে। তখনই হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো নন্দিতাদির অফারটা আসে আমার কাছে। তিনি আমাকে ইটিভিতে চাকরি করার প্রস্তাব দিয়ে বসেন। কী জানি, অদৃষ্টের দৃষ্টি আমার উপর দয়াই করেছিল হয়তো। চাকরি করতে এসে ছবি তৈরির অ-আ-ক-খ শিখে নিলাম এই রামোজি ফিল্ম সিটিতে বসে। রামোজি রাওয়ের অধীনে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours