দেশের এক-তৃতীয়াংশ জলের (water) তলায়, বন্যার (flood_ জেরে ভয়ঙ্কর ভোগান্তি পাকিস্তানে (pakistan)। শুক্রবার পর্যন্ত যা ক্ষতি (financial damage) হয়েছে, তার আর্থিক পরিমাণ ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN Sec Gen) মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের (António Guterres) বক্তব্য, 'এমন ভয়ঙ্কর জলবায়ু বিপর্যয় আগে কখনও দেখিনি।'

পাকিস্তান-সফরে গুতেরেজ...
বন্যাবিধ্বস্ত দেশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুদিনের সফরে পাকিস্তান এসেছেন গুতেরেজ। শুক্রবারই সেখানে পৌঁছন তিনি। পাকিস্তানের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ দেখে আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে তাঁর আন্তরিক আবেদন, আরও বেশি করে ত্রাণসামগ্রী পাঠাক দেশগুলি। সঙ্গে সংযোজন, 'পাকিস্তান এমন একটি পরিস্থিতির মূল্য় চোকাচ্ছে যা অন্যরা তৈরি করেছে।' গুতেরেজের কথায়, 'যা দেখছি তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। আমাদের পৃথিবী যত বেশি গরম হয়ে উঠবে, ততই আরও বেশি সংখ্যক দেশকে জলবায়ু বিপর্যয়ের ভয়ঙ্কর জের সামলাতে হবে। এটি বিশ্বজনীন সমস্যা। তাই গোটা বিশ্বকেই এর মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে।' চলতি বন্যায় যে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছে পাকিস্তানকে, তা মোকাবিলায় অবিলম্বে তার আরও বেশি আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন। মনে করিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব। তাঁর যুক্তি, তুলনামূলক ভাবে স্বচ্ছল দেশগুলিই ৮০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের নেপথ্যে। সেখানে পাকিস্তানের 'অবদান' ১ শতাংশেরও কম। তাই এই জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশ্বের বাকি দেশগুলিকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেজ।

কী অবস্থা পাকিস্তানের?
চলতি বন্যায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিপর্যস্ত পাকিস্তানে। ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে রাস্তাঘাট, খেত, খামার। এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। বন্যার শুরু থেকে আহতের সংখ্যা ১২ হাজার ৭০০। অবিলম্বে ৬০ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন বলে গত সপ্তাহেই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বন্যার জল ঢুকে পড়ায় দেশের ১ হাজার ৪৬০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা প্রদান বন্ধ রয়েছে। যে ক’টি চালু রয়েছে, সেখানে ওষুধপত্র এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছচ্ছে না। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। সব মিলিয়ে দুর্ভোগের এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। কবে উদ্ধার মিলবে এর থেকে? স্পষ্ট নয়। তবে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের অর্থনীতি এই বন্যার ভারে কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা ভেবেই চিন্তায় সরকার থেকে বিশেষজ্ঞরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours