হোয়াটসঅ্যাপ কিন্তু আর বেশি দিন বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে না। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, WhatsApp Call করার জন্য গাঁটের কড়িও খসাতে হতে পারে আপনাকে।


WhatsApp আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। সকালে ঘুম ভাঙা থেকে রাতে ফের ঘুমোতে যাওয়া ইস্তক হোয়াটসঅ্যাপে চোখ না বোলালে জাস্ট চলে না! বিগত কয়েক বছরে WhatsApp-এর চালচিত্রও অনেকটা বদলে গিয়েছে। মেটা-র ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটি আর কেবলই মেসেজিংয়ের ব্র্যাকেটের মধ্য সীমাবদ্ধ নয়। WhatsApp থেকে আপনি এখন ভয়েস, ভিডিয়ো কল করতে পারেন, গ্রুপ তৈরি করে বহু মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেন, এক-একটা এক ইন্টারেস্টের গ্রুপকে কমিউনিটির ছাতার তলায় নিয়ে আসতে পারে এবং সর্বোপরি WhatsApp Pay ব্যবহার করে আপনি এখন টাকাও পাঠাতে পারেন। এহেন হোয়াটসঅ্যাপই কিন্তু আর বেশি দিন বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে না। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, WhatsApp Call করার জন্য গাঁটের কড়িও খসাতে হতে পারে আপনাকে।


এখনও পর্যন্ত WhatsApp কোনও পরিষেবার জন্যই আপনার কাছে কোনও টাকা চার্জ করে না। তা সে কলিং হোক বা মেসেজিং বা কোনও মিডিয়া পাঠানো— পুরো ব্যাপারটাই হোয়াটসঅ্যাপে এখনও পর্যন্ত ফ্রি-ই রাখা হয়েছে। যে কারণে অনেকে আজকাল নর্মাল কলিংয়ের জন্যও হোয়াটসঅ্যাপের শরণাপন্ন হন। কিন্তু এই ব্যবস্থা আর বেশি দিন থাকবে না বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, WhatsApp একটি সার্কুলার জারি করতে পারে, যেখানে হোয়াটসঅ্যাপ কলিংয়ের জন্য আপনাকে টাকা দিতে হতে পারে। কিন্তু এতদিন ফ্রি সার্ভিস দিয়ে হঠাৎ করে কলিংয়ের জন্য টাকা চার্জ করতে চাইছে কেন WhatsApp? আসলে, হোয়াটসঅ্যাপে যেহেতু বিনামূল্যে মোবাইল ডেটা বা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কল করা যায়, তাতে টেলিকম সংস্থাগুলির বেজায় আপত্তি রয়েছে। তারা দাবি করেছে, এভাবে মানুষ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে WhatsApp Calling-এর সুবিধা নিলে রিচার্জ করতে চাইবেন কেন?

একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, হোয়াটসঅ্যাপ কলিং জনপ্রিয়তা পেতে দেশের টেলিকম সংস্থাগুলিকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সবথেকে আশ্চর্যজনক দিকটি হল, আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপ কলের জন্য কোনও সিমও ব্যবহার করতে হয় না। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক পেয়ে গেলেই আপনি সহজে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ভয়েস বা ভিডিয়ো কল করতে পারেন। এমনটা হলে তো টেলিকম সংস্থাগুলি আপত্তি জানাবেই।

যদিও সত্যিই WhatsApp তার ভয়েস বা ভিডিয়ো কলিং পরিষেবার জন্য গ্রাহকদের কাছে টাকা চার্জ করবে কি না, সে বিষয়ে মেটার তরফ থেকে নিশ্চিত কোনও বার্তা এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আর যদিও সেই ব্যবস্থা হোয়াটসঅ্যাপ বাস্তবায়িত করে, তাহলে কবে নাগাদ তা করা হবে, সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি।

TRAI (টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) এই প্রস্তাবটি 2008 সালের প্রথম দিকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু সে সময় ভারতে মোবাইল ইন্টারনেট তার শৈশবকালে ছিল। এখন নতুন করে আবার কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনস (DoT) এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours