লকডাউনের জেরে এদিন সকাল থেকেই দোকান বাজার সব বন্ধ ছিল। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান এদিন তালা বন্ধ ছিল। রাস্তায় যানবাহন চলেনি।
#বর্ধমান:বাড়ির পাশেই করানোর সংক্রমণ। তার ওপর গত দু'দিনে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। সেই খবর চাউর হতেই আতঙ্কিত বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা। তার জেরে বৃহস্পতিবার লকডাউনে দিনভর শুনশান থাকল বর্ধমান শহর। ফাঁকা থাকল রাজপথ।
এদিন সকাল থেকেই বাসিন্দাদের রাস্তায় বের হতে দেখা যায়নি। সকালের দিকে ভারী বর্ষণ মধ্য দিয়ে লকডাউন শুরু হয়েছিল। বৃষ্টি থামলেও বাসিন্দারা আর ঘরের বাইরে পা দেননি সেভাবে। সচেতন বাসিন্দারা বলছেন, ইদানিং বাজার, শপিং মল থেকে শুরু করে সর্বত্র  ব্যাপক ভিড় হচ্ছিল। তার জেরেই সংক্রমণ এতটা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বাসিন্দারা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে পা না দিলে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকত।
শুধুমাত্র বর্ধমান শহরেই আশিজনের ওপর বাসিন্দা এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত দু'দিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ধমানের কালিবাজার এলাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে বর্ধমানের রানিগঞ্জ বাজার এলাকার এক বাসিন্দা মারা গিয়েছেন। বর্ধমানের লস্করদিঘিতেও একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
এই দুঃসংবাদের মধ্যেই পাড়ায় পাড়ায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে তৈরি হয়েছে কন্টেইনমেন্ট জোন। শহরে উনিশ জায়গায় এখন কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এসব কারণেই এখন আতঙ্কিত বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা।
লকডাউনের জেরে এদিন সকাল থেকেই দোকান বাজার সব বন্ধ ছিল। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান এদিন তালা বন্ধ ছিল। রাস্তায় যানবাহন চলেনি।
আগের লকডাউনে দেখা গিয়েছিল নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই অনেকে পথে নেমে পড়েছেন। অনেকে লকডাউন দেখতেও শহরের মূল এলাকাগুলিতে ভিড় করেছেন নানান অছিলায়। সেদিন অনেকেই কোনো সংক্রমণকে অনেক সহজভাবে নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেই সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিন তিন জনের মৃত্যু হওয়ায় এবার ভয় পেয়ে গিয়েছেন অনেকেই। তাই শহরে দাপিয়ে না বেরিয়ে এলাকার মধ্যেই  থাকছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন ঘরের বাইরে পা দেওয়াও ঝুঁকির ব্যাপার। কারণ করোনার সংক্রমণ এখন অনেকের বাড়ির দোড়গোড়ায়। তাই যতটা সম্ভব বাড়ির ভেতরে থেকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। সেইসঙ্গে খুব প্রয়োজনে বাইরে বের হলে অবশ্যই মুখ মাস্কে ঢাকতে হবে। বাড়ি ফিরে পোশাক বদল করে ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে তবেই অন্যদের কাছাকাছি যাওয়া উচিত।থদ
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours