এলাকার এক বাড়িতে গিয়ে পাপিয়াকে বলতে শোনা যায়, "আমরা দিদির হয়ে এসেছি। এবার দিদিই ঘর দেবেন বাংলার আবাস যোজনায়। তার একটা ফর্ম ফিলআপ করে দিয়ে যাচ্ছি। ভোটের পর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আপনি ঘরের টাকা পেয়ে যাবেন। এবার আর কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না।"


 ফর্ম হাতে তৃণমূল প্রধান ঘুরছেন বাড়ি বাড়ি, ভোটের মুখে কোন তথ্য নিচ্ছেন?
প্রধান পাপিয়া দে সরকার

জলপাইগুড়ি: টেবিল চেয়ার পেতে রীতিমতো শিবিরের ধাঁচে চলছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণ প্রক্রিয়া। উদ্যোক্তা তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। ভোটের সময় এমন ঘটনা নির্বাচনী বিধি ভাঙার সামিল বলে দাবি বিজেপির। এই ঘটনা ঘিরে রাজগঞ্জে জোর চর্চা। ১৯ এপ্রিল এ রাজ্যের তিন লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তালিকায় আছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। অভিযোগ, ভোটের মুখে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে পানিকৌড়ি গ্রামপঞ্চায়েতে ক্যাম্প করে আবাস যোজনার আবেদনপত্র পূরণ করাচ্ছেন তৃণমূলের লোকজন। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি।

সোমবার দুপুরে রাজগঞ্জের পানিকৌড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পাপিয়া দে সরকার অনুগামীদের নিয়ে এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। হাতে কাগজ কলম ও ফর্ম। এলাকার এক বাড়িতে গিয়ে পাপিয়াকে বলতে শোনা যায়, “আমরা দিদির হয়ে এসেছি। এবার দিদিই ঘর দেবেন বাংলার আবাস যোজনায়। তার একটা ফর্ম ফিলআপ করে দিয়ে যাচ্ছি। ভোটের পর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আপনি ঘরের টাকা পেয়ে যাবেন। এবার আর কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না।”

পাপিয়া দে সরকারের কথায়, ২০১৮ সালে তাঁদের তরফে ঘরের সার্ভে হয়েছিল। তবে ২০২৪ সাল হয়ে গেলেও কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় অনেকে ঘর পাননি বলে দাবি তাঁর। পাপিয়া মনে করিয়ে দেন, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নিয়মই হল কেন্দ্র ঘরের জন্য ৬০ শতাংশ ও রাজ্য ৪০ শতাংশ টাকা দেবে।” প্রধান বলেন, কেন্দ্রের ৬০ শতাংশর জন্য গরিব মানুষ ৬ বছর ধরে বঞ্চিত।

পাপিয়ার কথায়, “দিদি ১০০ দিনের টাকা যেমন দিয়েছেন, এবার লোকসভা ভোট মিটলে দিদি আবাসের টাকাও দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই আমরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। ২০১৮ সালে যাঁদের নাম তালিকায় ছিল, প্রকৃত গরিব, তাঁরা যাতে ঘর পান সেটাই আমরা দেখছি। সঙ্গে আমাদের প্রার্থীর হয়ে ভোটপ্রচারও করছি।”

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours