তামিল নাড়ুকে সেমিফাইনালে হারাতে পারলেই এ বারের রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2024) ফাইনালের টিকিট পাবে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল মুম্বই। সেমিফাইনালে তামিলনাড়ুর ক্যাপ্টেন সাই কিশোর ৬ উইকেট সাবাড় করে বিরাট চাপে ফেলেছিলেন মুম্বইকে। সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন শার্দূল ঠাকুর (Shardul Thakur)।

IPLএর আগে সেঞ্চুরি, সেলিব্রেশন নয়, রঞ্জি নিয়ে বিদ্রোহ শার্দূল ঠাকুরের
IPLএর আগে সেঞ্চুরি, সেলিব্রেশন নয়, রঞ্জি নিয়ে বিদ্রোহ শার্দূল ঠাকুরের

রঞ্জি ফাইনাল থেকে এক কদম দূরে রয়েছে অজিঙ্ক রাহানের মুম্বই। তামিল নাড়ুকে সেমিফাইনালে হারাতে পারলেই এ বারের রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2024) ফাইনালের টিকিট পাবে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল মুম্বই। সেমিফাইনালে তামিলনাড়ুর ক্যাপ্টেন সাই কিশোর ৬ উইকেট সাবাড় করে বিরাট চাপে ফেলেছিলেন মুম্বইকে। সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন শার্দূল ঠাকুর (Shardul Thakur)। সাধে তাঁকে লর্ড শার্দূল বলা হয় না। তিনি কাজে করে দেখান। সামনেই আইপিএল। তার আগে জ্বলে উঠেছেন ধোনির দলের অলরাউন্ডার। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করেছেন শার্দূল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটাই তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। ওই শতরানের পর মাঠে সেলিব্রেশন করেছিলেন শার্দূল। কিন্তু তারপরই রঞ্জি নিয়ে বিদ্রোহও করেছেন তিনি। কিন্তু কেন? বিস্তারিত জেনে নিন 

রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের দ্বিতীয় দিন তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ১০৪ বলে ১০৯ রান করেছিলেন শার্দূল ঠাকুর। দিনের খেলার শেষে শার্দূল রঞ্জির সূচি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে রঞ্জির এই সূচির কারণে অনেক ক্রিকেটারের চোট-আঘাত হতে পারে। তাঁর মতে নকআউট ম্যাচগুলোর মাঝে তিনদিনের ব্যবধান দিয়ে সামঞ্জস্য বজায় রাখা কঠিন। শার্দূল বলেন, ‘এটা খুব কঠিন, কারণ আমরা তিন দিনের ব্যবধানে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলছি। যা রঞ্জি ট্রফি মরসুমে আগে কখনও ঘটেনি। যা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। ক্রিকেটাররা যদি আরও দুই মরসুম এইভাবে খেলতে থাকে, তা হলে দেশের অনেক ক্রিকেটার চোটের কবলে পড়বে।’

ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি নিয়ে শার্দূল ঠাকুর বলেন, ‘আগামী বছর বিসিসিআইকে রঞ্জি ট্রফির সূচির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। এবং ম্যাচের মাঝে আরও বিরতি দিতে হবে। কয়েক বছর আগেও রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের মাঝে ক্রিকেটাররা অনেক দিনের গ্যাপ পেতেন। আমার নিয়মিত রঞ্জি ট্রফির খেলার দিনগুলোর কথা মনে আছে, ৭-৮ বছর আগে প্রথম তিনটি ম্যাচে ৩ দিনের বিরতি থাকত, তারপরে ৪ দিনের বিরতি থাকত এবং নকআউট পর্বে ৫ দিনের বিরতি দেওয়া হত।’

এখানেই থেমে না থেকে শার্দূল আরও বলেন, ‘এ বছর আমরা সকলেই দেখেছি সব ম্যাচের মধ্যে ৩ দিনের ব্যবধান থাকছে। ঘরোয়া ক্রিকেটাররা ১০টা টানা ম্যাচ খেলবে, তারপর দল যদি ফাইনালে ওঠে, তা হলে মাত্র তিন দিনের ব্যবধান পাবে এমনটা আশা করা খুবই কঠিন। এ ছাড়া গ্রুপে যখন ৯টি দল ছিল, তখন একটি দল রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে বিরতি পায়। এখন একটি গ্রুপে মাত্র আটটি দল। এবং প্রতিটি দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলছে, তাই এই বিরতিও এখন শেষ।’

এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া অবধি বিরাট চাপে রয়েছে তামিলনাড়ু। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও ২ উইকেট নিয়ে শার্দূল তামিলনাড়ুকে চাপে ফেলেছিলেন। এ বার তামিলনাড়ুর দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও অবধি দুই ওপেনারের উইকেট নিয়ে তামিলনাড়ুকে চাপে ফেলে দিয়েছেন লর্ড শার্দূল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours