মুসলিম ধর্মের মতোই এই দুই ধর্মের উত্থানও ভারত থেকে নয়। বিশ্বের অনেক দেশেই এই দুই ধর্মের বহু সংখ্যক মানুষ থাকেন। কাজেই তাদের যাওয়ার জায়গায় অভাব নেই।
এমনকি পার্সি-খ্রিস্টানরাও CAA-তে, মুসলিমরা কি দোষ করল? ব্যাখ্যা দিলেন শাহ
খ্রিস্টান পার্সিদের জন্য এক নিয়ম, মুসলিমদের জন্য আলাদা কেন?
সিএএ কার্যকর হওযার পর থেকে ফের এই আইন নিয়ে বিতর্ক চলছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধীরা এই আইন নিয়ে বেশ কিছু মৌলিক প্রশ্ন তুলছেন। তার অন্যতম হল, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মের মানুষদেরও সিএএ-এর অধীনে ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, মুসলিম ধর্মের মতোই এই দুই ধর্মের উত্থানও ভারত থেকে নয়। বিশ্বের অনেক দেশেই এই দুই ধর্মের বহু সংখ্যক মানুষ থাকেন। কাজেই ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে যদি তাদের দেশ ত্যাগ করতে হয়, তাহলে তাদের যাওয়ার জায়গায় অভাব নেই। তাদের যদি সিএএ-র অধীনে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়, তবে মুসলিমদের দেওয়া হবে না কেন? সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন খোদ অমিত শাহ।
অমিত শাহ জানিয়েছেন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মের জন্ম ভারতে না হলেও, মুসলিমদের মতোই তারা অখণ্ড ভারতের অংশ। কিন্তু, অখণ্ড ভারতে মুসলিমদের থাকার দেশ রয়েছে, তাদের থাকার কোনও আলাদা জায়গা চিহ্নিত করা নেই। তাই তাদের সিএএ-র অংশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “মুসলিম জনসংখ্যার কারণে সেই এলাকাগুলি (বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান) আজ আর ভারতের অংশ নয়। এই এলাকা তাদের (মুসলিম) ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমার মতে, যারা অখণ্ড ভারতের অংশ ছিল এবং ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছে, তাদের আশ্রয় দেওয়াটা আমাদের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব।” অখণ্ড ভারত কাকে বলে? অমিত শাহ জানয়েছেন, অখণ্ড ভারত হল এক অখণ্ড বৃহত্তর ভারতের ধারণা। এটা আধুনিক সমযের আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মলদ্বীপ, নেপাল, মায়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং তিব্বত জুড়ে ছড়িয়ে ছিল।
ইসলাম ধর্মের অংশ হলেও, শিয়া, বালোচ এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তাদের উপর সংখ্যালঘু সুন্নি মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নির্যাতনের অভিযোগও কম নেই। সিএএ-র সমালোচকদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ধর্মীয় অত্যাচারের ভিত্তিতে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হলে, এই মুসলিম সংখ্যালধঘু সম্প্রদায়দের কেন সিএএ-র অংশ করা হবে না? অমিত শাহ বলেন, “গোটা বিশ্বেই এই সম্প্রদায়গুলিকে মুসলিমদের অংশ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তাছাড়া, মুসলমানরাও ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। সংবিধানে তার বিধান রয়েছে। তারা আবেদন করতেই পারে। জাতীয় নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয়গুলিকে খতিয়ে দেখে ভারত সরকার সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সিএএ হল এই তিন দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য এক বিশেষ আইন।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours