নিষেধাজ্ঞা জারির পর, প্রথমবার এই আদেশ লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি জারি করল বেঙ্গালুরু জল সরবরাহ বোর্ড। সব মিলিয়ে ২২টি পরিবারকে দোষী সাব্যস্ত করে, ৫০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ওয়াটার সাপ্লাই বোর্ড জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ১.১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

জলের দরে! ২২ পরিবারকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
এটাই বেঙ্গালুরুর বর্তমান ছবি


বেঙ্গালুরু: চলতি মাসের শুরু থেকেই চরম জল সংকটে ভুগছে বেঙ্গালুরু শহর। পানীয় জলের অপব্যবহার রুখতে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহেই , বেঙ্গালুরু ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যুয়ারেজ বোর্ড গাড়ি ধোয়া, বাগান করা, নির্মাণকাজ, ফোয়ারা, বিনোদন, সিনেমা হল ও শপিং মলে পান ব্যতীত অন্যান্য ব্যবহারের জন্য এবং রাস্তা নির্মাণের জন্য পানীয় জল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা জারির পর, প্রথমবার এই আদেশ লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি জারি করল বেঙ্গালুরু জল সরবরাহ বোর্ড। সব মিলিয়ে ২২টি পরিবারকে দোষী সাব্যস্ত করে, ৫০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ওয়াটার সাপ্লাই বোর্ড জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ১.১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এই ‘অপরাধী’রা যদি ফের একই অপরাধ করেন, সেই ক্ষেত্রে প্রতিবার আদেশ লঙ্ঘনে ৫০০ টাকা করে অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করা হবে।


ওয়াটার সাপ্লাই বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার থেকে এই বিধিনিষেধগুলি কার্যকর করা হয়েছে। শুক্র, শনি এবং রবিবারের মধ্যেই ২২টি পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়, যারা এই নির্দেশ লঙ্ঘন করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই তাদের রসিদ দিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সবথেকে বেশি জরিমানা আদায় হয়েছে শহরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে, ৮০,০০০ টাকা।

জলের তীব্র সংকটে বেহাল অবস্থা বেঙ্গালুরুবাসীর। প্রতিদিন বেঙ্গালুরুবাসীদের মোট ২,৬০০ মিলিয়ন লিটার জল লাগে। বর্তমানে দিন প্রতি প্রায় ৫০০ মিলিয়ন লিটার জলের ঘাটতি চলছে। জলের ব্যবহার কমাতে, শহরের অনেক অফিসই কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি, ডিসপোজেবল প্লেটে খাবার খেতে হচ্ছে তাদের, এঁটো থালা-বাটি ধোওয়ার জন্য জল না লাগে। অনেকে, বাড়ির জলের ব্যবহার কমাতে শপিং মলে গিয়ে শৌচকার্য করছেন। এর মধ্যে, সোমবার আবার দোল উৎসব। দোল উপলক্ষ্যে সারা দেশে চলছে রং খেলা।


জলের অভাবে, বেঙ্গালুরুবাসীকে দোল উদযাপনেও কাটছাঁট করতে হচ্ছে। ওয়াটার সাপ্লাই বোর্ড, বাসিন্দাদের পুল পার্টি এবং রেইন ডান্সের জন্য কাবেরী এবং বোরওয়েলের জল ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি, হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট এবং অফিসগুলিতে জলের ব্যবহার কমাতে, এয়ারেটর স্থাপন করতে উত্সাহিত করা হচ্ছে। কাউকে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি লঙ্ঘন করতে দেখলে, অবিলম্বে রিপোর্ট করার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বরও খুলেছে তারা। সংকটের সময়, যাতে জলের ট্যাঙ্কারের দাম বেশি না নেওয়া হয়, তার জন্য জলের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours