মাথার চুল থেকে গায়ের পাঞ্জাবি, সবই সবুজ আবিরে ঢেকেছে। অন্য কোনও রঙের যেন ছোঁয়াই পরেনি শরীরে। একইসঙ্গে বসন্তের আনন্দে রঙিন হয়ে জনসংযোগেও সামিল হতে দেখা গেল শ্রীরামপুরের তিনবারের সাংসদকে। আর এবারের নির্বাচনেও যে লাল বা গেরুয়া কোনও রঙই কোনও ফ্যাক্টর হবে না সেটাও বুঝিয়ে দিলেন কল্যাণ।
মুখোমুখি লড়াইয়ে প্রাক্তন জামাই, রিল্যাক্স মুডের কল্যাণের কাছে 'কেউই কিচ্ছু ফ্যাক্টর নয়'
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
শ্রীরামপুর: বসন্ত উৎসবে সকাল থেকে ব্যস্ত শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সামিল হলেন বসন্তের আনন্দে। আবিরে আবিরে রঙিন হলেন। মাথার চুল থেকে গায়ের পাঞ্জাবি, সবই সবুজ আবিরে ঢেকেছে। অন্য কোনও রঙের যেন ছোঁয়াই পড়েনি শরীরে। একইসঙ্গে বসন্তের আনন্দে রঙিন হয়ে জনসংযোগেও সামিল হতে দেখা গেল শ্রীরামপুরের তিনবারের সাংসদকে। আর এবারের নির্বাচনেও যে লাল বা গেরুয়া কোনও রঙই কোনও ফ্যাক্টর হবে না সেটাও বুঝিয়ে দিলেন কল্যাণ।
উল্লেখ্য, এবারের ভোটে শ্রীরামপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে কল্যাণেরই প্রাক্তন জামাই কবীরশঙ্কর বসুকে। এদিন বসন্ত উৎসবের জনসংযোগে বেরিয়ে সরাসরি কারও নাম না নিলেও, কল্যাণ বুঝিয়ে দিলেন তাঁর কাছে বিরোধীদের কেউই কোনও ফ্যাক্টর নন। বিরোধীদের কোনও প্রভাব পড়বে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করায় কল্যাণের স্পষ্ট জবাব। বললেন, ‘গতবার হ্যাটট্রিক করেছি। এবারও বাউন্ডারি আমিই মারছি।’ বিজেপির প্রার্থী তাঁর পূর্ব পরিচিত, সে নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদকে। যদিও আলাদা করে কোনও প্রার্থীর বিষয়ে কোনও মন্তব্য কতে রাজি নন কল্যাণ।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আলাদা করে কোনও প্রার্থীর বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। বাপি লাহিড়ী হেরেছেন, গতবার দেবজিৎ সরকার হেরেছেন। এর আগে যাঁরা সিপিএমের ছিলেন, তাঁরাও হেরেছেন। ২০০৯ সাল থেকে সিপিএম হারছে এখানে।’ প্রসঙ্গত, কল্যাণের প্রাক্তন জামাই কবীরশঙ্কর এর আগেও একবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। একুশের বিধানসভা ভোটে লড়েছিলেন শ্রীরামপুর থেকে। যদিও পরাস্ত হয়েছিলেন। আর এবারও লোকসভা ভোটে কল্যাণের বিরুদ্ধে তাঁকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি।
একইসঙ্গে ফুরফুরা শরিফের নওশাদ অনুগামীরাও যে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারবেন না নির্বাচনে, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন কল্যাণ। প্রশ্ন করতেই বললেন, ‘কিচ্ছু ফ্যাক্টর নয়। ফুরফুরা যদি ফ্যাক্টর হত, তাহলে নওশাদ সিদ্দিকীকে ভাঙড়ে গিয়ে ভোটে দাঁড়াতে হত না।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours