গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু কখনও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার উধাও হয়ে যান, তো কখনও ইন্টারনেটের ধীর গতির জন্য ভোটিং মেশিন কাজ করছে না বলে জানানো হয়। এভাবেই ১০ ফেব্রুয়ারি কেটে গেলেও, নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ হয়নি।
৬০ ঘণ্টা পরও গদি নিয়ে কাটল না ধোঁয়াশা, গোটা পাকিস্তান স্তব্ধ করতে পথে নামছে ইমরানের সমর্থকরা
পিটিআই কর্মীদের বিক্ষোভ।
ইসলামাবাদ: নির্বাচনের পর দুই বছর কেটে গিয়েছে। এখনও ফল প্রকাশ হয়নি পাকিস্তানে। দেশের শাসনভার কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ কাটছে না। পাক নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ না হলেও, আপাতভাবে এগিয়ে রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরাই। এদিকে, জল্পনা শোনা যাচ্ছে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দল জোট বেধে সরকার গড়বে। এই দোলাচলের মধ্যেই এবার পথে নামছে ইমরান খানের সমর্থকরা। নির্বাচনের ফল প্রকাশে দেরির প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করবে পিটিআই ও অন্যান্য দলের কর্মী সমর্থকরা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু কখনও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার উধাও হয়ে যান, তো কখনও ইন্টারনেটের ধীর গতির জন্য ভোটিং মেশিন কাজ করছে না বলে জানানো হয়। এভাবেই ১০ ফেব্রুয়ারি কেটে গেলেও, নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ হয়নি। একদিকে, নওয়াজ শরিফ দাবি করেছেন, তাঁর দলই একক সংখ্য়াগরিষ্ঠ। সরকার তাঁরাই গঠন করবেন। অন্যদিকে, জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও দাবি করেছেন যে তাঁর দলই জয়ী, সরকার গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গোহর আলি খান জানিয়েছেন, ইমরান খান যেহেতু জেলে রয়েছেন, তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারলেও, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা তিনিই বাছাই করবেন। নির্বাচনের ফল এখনও সম্পূর্ণ প্রকাশ না হওয়ায় আজ, রবিবার রিটার্নিং অফিসারদের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাবে পিটিআই কর্মী-সমর্থকরা।
নির্বাচনের ফলাফল-
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, শেষ গণনা অবধি পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা ১০০টিরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে। নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৩টি আসন। বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যান্য ছোট দলগুলি সব মিলিয়ে ২৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। এখনও বেশ কিছু আসনে ফল প্রকাশ বাকি।
মোট ২৬৫টি আসনে নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৩টি আসন। এখনও অবধি সেই সংখ্যা ছুঁতে পারেনি ইমরান খানের দলের কর্মীরা, যারা নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। অন্যদিকে, যদি নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো হাত মেলান, তবে সরকার গড়তে পারেন তারা, তবে প্রয়োজন আরও কয়েকজন নির্দল বা অন্য কোনও ছোট দলের সমর্থন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours