সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। অনেকেই ম্যাচ শেষ হতে ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে পড়েন। প্লেয়ারদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। এমন দৃশ্য যেন কল্পনার বাইরে ছিল ইস্টবেঙ্গল কোচের।

East Bengal vs Mohun Bagan: ডার্বি জয়ের মুহূর্ত ভুলতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ!
icon
টানা আটটি ডার্বি হারের পর জয়। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে মাতবেন, এমনটাই স্বাভাবিক। সেটাই দেখা গিয়েছে শনিবার। মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও ইমামি ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপের এই ম্যাচ ঘিরে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। গত কয়েক বছর ইস্টবেঙ্গলের সার্বিক পারফরম্যান্স হতাশার। তার ওপর সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে টানা আটটি ডার্বি হার। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন সমর্থকরা। ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকলেও গ্যালারিতে উপস্থিতি ছিল খুবই কম। নতুন মরসুমে সব বদলে গিয়েছে। আর এই চিত্র অভিভূত করেছে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে। ডার্বির সেই মুহূর্ত ভুলতে পারছেন না। বিস্তারিত জেনে নিন  এই প্রতিবেদনে।


বড় ম্যাচের আগের প্রবল আত্মবিশ্বাসী ছিল মোহনবাগান। অ্যাডভান্টেজ ছিল সবুজ মেরুনই। আগের আটটি ডার্বি জয়, গত বারের আইসিএলে চ্যাম্পিয়ন। মোহনবাগান সমর্থকরা টানা ন’টি ডার্বি জয়ের বিশ্বাস নিয়েই মাঠে এসেছিলেন। মোহনবাগান সেট টিম, দলে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু নতুন প্লেয়ার। সই করানো হয়েছে কাতার বিশ্বকাপে খেলা অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলার জেসন কামিন্সকে। ইস্টবেঙ্গল সেই অর্থে নতুন দল। বেশির ভাগ ফুটবলারেরই ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না। প্রথম ডার্বি খেলতে নেমেই গোল নন্দ কুমারের। তাঁর একমাত্র গোলেই ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের। সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। অনেকেই ম্যাচ শেষ হতে ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে পড়েন। প্লেয়ারদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। এমন দৃশ্য যেন কল্পনার বাইরে ছিল ইস্টবেঙ্গল কোচের।


ডুরান্ডে বুধবার ফের নামছে ইস্টবেঙ্গল। তার আগে শনিবারের ম্যাচ নিয়ে কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেন, ‘এত সমর্থকের সামনে ডার্বি জয়, অভাবনীয় মুহূর্ত। আমাদের জন্য এত্ত সমর্থন ছিল, দুর্দান্ত বিষয়। প্লেয়াররা মাঠে নেমে সর্বস্ব দিয়ে খেলেছে, তার প্রধান কারণ এত সমর্থনই।’ এরপরই অবশ্য পরবর্তী ম্যাচ প্রসঙ্গে যোগ করেন, ‘ডার্বি জয় এখন অতীত। পুরো ফোকাস এখন পরবর্তী ম্যাচে।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours