ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে মণিপুরে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন), রাজ্যের বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের জন্য ১০১.৭৫ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে এদিন এই ত্রাণ প্যাকেজের ঘোষণা করেন মণিপুর সরকারের নিরপত্তা উপদেষ্টা কূলদীপ সিং।

Manipur Violence: মণিপুরে ফিরছে শান্তি, বাস্তুচ্যুতদের জন্য ১০১ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রেরমণিপুরে শান্তি চান অধিকাংশ মানুষ
ইম্ফল: ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে মণিপুরে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন), রাজ্যের বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের জন্য ১০১.৭৫ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে এদিন এই ত্রাণ প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন মণিপুর সরকারের নিরপত্তা উপদেষ্টা কূলদীপ সিং। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে মণিপুরে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের কোথাও থেকে কোনও হিংসার খবর পাওয়া যায়নি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি বলেছেন, “মণিপুরে বাস্তুচ্যুত মানুষদের ত্রাণ প্রদানের জন্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১০১.৭৫ কোটি টাকার একটি ত্রাণ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। তাঁর সাম্প্রতিক মণিপুর সফরের সময়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সরকারকে এই ত্রাণ প্যাকেজ পাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে অনুরোধ পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।”


শুধু ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণাই নয়, মণিপুরে শান্তি ফেরাতে গত কয়েকদিনে বারেবারেই বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণ করার আবেদন করেছিলেন অমিত শাহ। তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বহু মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দিয়েছেন। কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মণিপুরের ইম্ফল পূর্ব জেলার পোরোম্পট থানা এলাকা থেকে ২৭টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৪৫ রাউন্ড গুলি এবং ৪১টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর জেলা থেকেও ১টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুটি বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী ৮৯৬টি অস্ত্র, ১১,৭৬৩ রাউন্ড গুলি এবং বিভিন্ন ধরনের ২০০টি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

অস্ত্র-গোলাগুলি উদ্ধার এবং নতুন করে হিংসার কোনও ঘটনা না ঘটার পাশপাশি, এদিন রাজ্যে জারি করা কার্ফিউ-ও শিথিল করা হয়েছে। উপত্যকা এলাকার পাঁচটি জেলায় ১২ ঘণ্টার জন্য কার্ফিউ শিথিল করা হয়েছে। পার্বত্য জেলাগুলিতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার পর্যন্ত কার্ফিউ শিথিল করা হয়েছে। বাকি ছয় পার্বত্য জেলায় আগে থেকেই কার্ফিউ ছিল না। সেই সঙ্গে, মণিপুরের ‘লাইফলাইন’ হিসেবে পরিচিত ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে পণ্য পরিবহনও নিশ্চিত করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার, ২৯৪টি খালি গাড়ি মাল আনার জন্য ইম্ফল থেকে জিরিবামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। নোনে থেকে ২২০টি মালবহনকারী গাড়ি ছেড়েছে। জিরিবাম থেকে রওনা দিয়েছে পণ্য বোঝাই ১৯৮টি ট্রাক এবং ট্যাঙ্কার।


এর পাশাপাশি রাজ্যে শান্তি ফেরাতে উপদ্রুত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ওই এলাকাগুলির আশেপাশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিবির স্থাপন করা হয়েছে। সংবেদনশীল সমস্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। কূলদীপ সিং জানিয়েছেন, সুশীল সমাজ এবং গ্রামগুলির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে নিরাপত্তা বাহিনী। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করছেন তাঁরা। এছাড়া, নির্ধারিত এলাকায় টহলদারি ও এরিয়া ডমিনেশনের কাজও করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours