ফেডারেশনের নতুন কমিটির মেয়াদ এক বছরও পেরোয়নি। এর মধ্যেই বিক্ষোভের সুর চড়ল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) অন্দরে। এআইএফএফের সচিব সাজি প্রভাকরণের বিরুদ্ধে চিঠি দিলেন খোদ ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অভিজিত্‍ পাল।

AIFF: ফেডারেশনের সচিবের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে চিঠি, তোলপাড় ভারতীয় ফুটবলফেডারেশনের সচিবের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে চিঠি, তোলপাড় ভারতীয় ফুটবল
Image Credit Source: Twitter

কলকাতা: ফেডারেশনের নতুন কমিটির মেয়াদ এক বছরও পেরোয়নি। এর মধ্যেই বিক্ষোভের সুর চড়ল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) অন্দরে। এআইএফএফের সচিব সাজি প্রভাকরণের (Shaji Prabhakaran) বিরুদ্ধে চিঠি দিলেন খোদ ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অভিজিত্‍ পাল। যে চিঠিতে রীতিমতো তোলপাড় ভারতীয় ফুটবল। ৩৭টি রাজ্য সংস্থাকে সেই চিঠির কপি পাঠিয়ে দিয়েছেন অভিজিত্‍ পাল। বিষয় এতদূর গড়ায়, যে পাঁচ সদস্যের পর্যবেক্ষক বা বিশেষ কমিটি গঠন করল ফেডারেশন। এআইএফএফের ফিনান্স কমিটিতে আছেন অভিজিত্‍ পাল। ফেডারেশন সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। আর তা নিয়েই বাড়ছে বিতর্ক। ফেডারেশন সচিবকে ব্যক্তিগত ভাবে প্রশ্ন করার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্য সংস্থাগুলির কাছেও সেই চিঠির কপি পাঠিয়ে বিতর্ক বাড়িয়ে দেন ওড়িশার অভিজিত্‍ পাল। বিস্তারিত জেনে নিন  এর এই প্রতিবেদনে।


পাঁচ জনের পর্যবেক্ষক বা কোর কমিটিতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনএ হ্যারিসকে। কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হয়েছে অভিজিত্‍ পালকে। বাকি তিন সদস্য লালঘিংলোভা হামার, মুলরাজসিং চুদাসামা, বিজয় বালি। সচিবের বিরুদ্ধে আর্থিক অসঙ্গতির প্রশ্ন তুলতেই রাতারাতি কমিটি গঠন করে ফেডারেশন।

সাম্প্রতিক অতীতে ফেডারেশনের বেশ কিছু স্টাফকে চাকরি থেকে সরানো হয়েছে। একই ভাবে বেশ কিছু স্টাফকে চাকরি দেওয়াও হয়েছে। অর্থকরী বিভাগের প্রধান মনোজ গুপ্তকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরই চিঠি দেন তিনি। নতুন স্টাফদের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিজিত্‍ পাল। ফিনান্স কমিটির কেউই নাকি এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানেন না। এমনকি এই নিয়োগের ফলে আর্থিক ভাবে ফেডারেশনের কতটা সুবিধা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কার্যকরী কমিটির এই সদস্য। আর্থিক বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবও দিয়েছেন অভিজিত্‍। সিনিয়র টিমের জন্য কোন খাতে কি খরচ করা উচিত সেই বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন।


ফেডারেশনের এক কর্তা বলেন, ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই এই পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার যাতে কেউ করতে না পারে, তার জন্যই আগে ভাগে সতর্ক হওয়া উচিত। ২ বছর বাদে সব কিছু সামনে আসার চেয়ে সাত-আট মাস পরই সতর্ক হয়ে যাওয়া ভালো।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours