তাঁকে মনে করানো হয়, লিটন রান নিতে গিয়ে দু-বার স্লিপ করেছে। সাকিব বলেন, 'প্রথম বার দেখেছিলাম। তবে ও ক্রিজের মধ্যে দৌড়েছিল নাকি পাশের ঘাসে, সেটা মনে নেই। দ্বিতীয় বার আমিও ব্যাট করছিলাম, তাই ও কোথায় দৌড়েছিল আমি খেয়াল করিনি।'


দীর্ঘ সময় বৃষ্টি হয়েছে। মাঠ ভেজা থাকাই স্বাভাবিক। মাঠ কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও ওভারে কমাতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। তারপরও মাঠ পুরোপুরি খেলার উপযুক্ত ছিল কিনা এই নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। কেন না, লিটন দাস দু-বার পা পিছলে পড়ে যান। রোহিত শর্মাও (Rohit Sharma) ফিল্ডিংয়ে এক বার পিছলে পড়লেন। শেষ অবধি ডাক ওয়ার্থ লুইসে ওভার কমলেও ম্যাচ সম্পূর্ণ করা গিয়েছে। বৃষ্টির আগে এবং পরে, সুবিধাজনক জায়গাতেই ছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে ভারত অবশ্য ৫ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল। সাংবাদিক সম্মেলনে অবশ্য চরম অস্বস্তিতে পড়লেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan)। আইসিসির ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন 

শুরুতে বাংলায় প্রশ্নোত্তর চলে। সাকিবকে সাংবাদিকরা চেপে ধরেন, মাঠ খেলার উপযুক্ত ছিল না কীনা। সরাসরি তা না বলে সাকিবের সঙ্গে খানিকটা খোলামেলা আলোচনার চেষ্টা করেন এক সাংবাদিক। তখন প্রশ্নোত্তর পর্ব পুরোপুরি শুরু হয়নি। সবে থিতু হয়ে বসেছেন। তাঁকে বলা হয়, সাকিব,ম্যাচের ফলটা খুবই দুঃখজনক, বৃষ্টির পরও আপনাদের এ ভাবে ম্যাচ খেলতে হল। আপনারা কি আটকানোর চেষ্টা করেননি? কী আলোচনা চলছিল তখন? সাকিব বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনও বিকল্প ছিল কি?’ সাংবাদিক পাল্টা প্রশ্ন করেন, বিকল্প হয়তো ছিল না, আপনি ওঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন কি? সাকিবের পাল্টা প্রশ্ন, কাদের বোঝানোর? তাঁকে বলা হয়, আম্পায়ার এবং ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার কথা। সাকিব মুখে বাঁকা হাসি বজায় রেখে বলেন, ‘আমার ক্ষমতা রয়েছে কি আম্পায়ারকে বোঝানোর?’ সেই সাংবাদিক বিদ্রুপের সুরেই সাকিবকে বলেন, ‘আচ্ছা, তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই বাংলাদেশের নদী নিয়ে আলোচনা করছিলেন? কী কথা চলছিল আম্পায়ারের সঙ্গে? এ বার সাকিব কিছুটা যেন স্বস্তিতে ফিরলেন। তবে বাঁকা হাসি বজায় থাকল। সাকিব বলেন, ‘এখন আপনি সঠিক প্রশ্নটা করলেন। আম্পায়ার আমাদের ডাকল। পরিবর্তিত নিয়ম, আমাদের কত লক্ষ্য, কত রান করতে হবে, কত ওভারের খেলা হবে এ সব জানাল।’ প্রশ্ন যদিও থামল না। সাংবাদিক তাঁকে বলেন, ‘আর আপনি রাজীও হয়ে গেলেন?’ সাকিব অসহায় ভঙ্গিতে জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ।’ সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ‘খুব সুন্দর। ধন্যবাদ’ বলে তাঁর কথা শেষ

এরপরও বারবার এমন প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছে। প্রতি বারই অস্বস্তিতে দেখিয়েছে সাকিবকে। বৃষ্টি বিরতি এবং সংক্ষিপ্ত ম্যাচ নিয়ে অন্য একটি প্রশ্নে বলেন, ‘খেলা শুরু সিদ্ধান্তটা আম্পায়ার নিয়েছে। আমরা ক্রিকেট খেলতে এসেছি। দু-দলই ভাল খেলেছে। ক্লোজ ম্যাচ হয়েছে।’ তাঁকে মনে করানো হয়, লিটন রান নিতে গিয়ে দু-বার স্লিপ করেছে। সাকিব বলেন, ‘প্রথম বার দেখেছিলাম। তবে ও ক্রিজের মধ্যে দৌড়েছিল নাকি পাশের ঘাসে, সেটা মনে নেই। দ্বিতীয় বার আমিও ব্যাট করছিলাম, তাই ও কোথায় দৌড়েছিল আমি খেয়াল করিনি।’ মাঠ কি স্লিপারি ছিল না? অনবরত একই রকমের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে থাকতে পারছিলেন না। বলেন, ‘যেমন বৃষ্টি হয়েছে, স্লিপারি ছিলই। এটাকে অজুহাত দেওয়া যায় না। আমাদের চেজ করা উচিত ছিল। আমরা হয়তো প্যানিক করেছি। প্রতি বলেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেছি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্তে ম্যাচ হারিয়ে যায়। আমরা পারিনি, এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক অনেক জিনিসই নিতে পারি।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours