এই পুজোয় প্রতিমার কাঠামো তৈরি থেকে শুরু করে সমস্তটাই হয় পুজো মণ্ডপে। এলাকার মহিলারা প্রতিমাকে সোনা রূপোর গয়নায় সাজিয়ে তোলেন।


তখনও স্বাধীন হয়নি দেশ। ভারতমাতৃকাকে বিদেশি শক্তির শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে, ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য কালীপুজো করেছিলেন বাগনানের (Bagnan) বিপ্লবী বিভূতিভূষণ বোস। সেই পুজো এখন এলাকার বারোয়ারি পুজো। দেখতে দেখতে ১০০ বছর হয়ে গেল।



১৯২১ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য কালীপুজো করেছিলেন বিপ্লবী বিভূতিভূষণ বোস। সঙ্গে নিয়েছিলেন আরও কয়েকজন যুবাকে। সেই পুজো এবার শতবর্ষে পা দিল। বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্ব নিয়েছে বাঙালপুর বয়েজ ক্লাবের সদস্যরা। শতবর্ষে এ পুজোর ভাবনা ‘মাটির টানে’।

এই পুজোয় প্রতিমার কাঠামো তৈরি থেকে শুরু করে সমস্তটাই হয় পুজো মণ্ডপে। এলাকার মহিলারা প্রতিমাকে সোনা রূপোর গয়নায় সাজিয়ে তোলেন। মণ্ডপ জুড়ে রয়েছে গ্রামবাংলায় মাটির তৈরি নানান দৃশ্য। মৃৎশিল্পীরা যে সমস্ত শিল্প গড়ে তোলেন তা যেমন তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি মৃৎশিল্পীরা বারো মাসে তেরো পার্বণের উৎসবে যে মূর্তির কাজ করেন তাও রয়েছে মণ্ডপে।

এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত তনিমা রায় বলেন, “প্রচুর আনন্দ করে কাটাই। এটা একেবারে আমাদের বাড়ির পুজোর মতো। বাড়িতে পুজো হলে যেমন আনন্দ করি, ঠিক ততটাই এখানে আনন্দ করি। প্রতি বছর আমরা অপেক্ষা করে থাকি এই পুজোর জন্য। আমরা কালীপুজোয় কোথাও বাইরে যাই না। এখানে থাকবই। আমাদের মা ভীষণ জাগ্রত। আমরা মায়ের কাছে যা মানত করি, যা প্রার্থনা করি মা কিন্তু আমাদের সেটা দেন। কোনওদিন মা ফেরাননি। করোনা বিধি মেনেও আমরা পুজো করেছি। কোথাও কোনও ঘাটতি রাখিনি। মায়ের পুজো মা নিজের মতো করেই করিয়ে নেন। এখানে আমরা সকলে একটা পরিবার। ক্লাবের নাম বয়েজ ক্লাব হতে পারে। কিন্তু বয়েজ গার্ল আমরা সকলে একটা পরিবার।”

আরেক বাসিন্দা শিল্পা ঘোষের কথায়, “এমনিই প্রচুর মজা করি। আর এবার তো ১০০তম বর্ষ। এটা আমাদের দারুণ আনন্দের। আমাদের স্বপ্নের ১০০। এক সপ্তাহ ধরে আমাদের এখানে খুব আনন্দ হয়। রবিবার সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এসেছিলেন পুজোর উদ্বোধন করতে। সকলে আমরা আনন্দ করব, মজা করব।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours