শি জিনপিং এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে দেশের প্রেসিডেন্ট হলেন। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করতে চিনের সংবিধানের বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।


বেজিং: আরও ক্ষমতা বাড়ল শি জিনপিংয়ের। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০ তম কংগ্রেস অধিবেশনের শেষ দিনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। গত সপ্তাহেই শুরু হয়েছিল চিনের শাসক দলের বার্ষিক অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই চিনের সংবিধানে একাধিক পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। একদিকে যেমন শি জিনপিংয়ের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। তেমনই তাইওয়ানের স্বাধীনতাকেও অস্বীকার করা হয়েছে। চিনের সমাজব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হিসাবেও কমিউনিস্ট পার্টির কথাই বলা হয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির সমাজ ও রাজনীতির উর্ধ্বে বলেই ঘোষণা করা হয়েছে।


কমিউনিস্ট পার্টির ২০ তম কংগ্রেস অধিবেশনেই তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে শি জিনপিংকে। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে তাঁর ক্ষমতাও। মাও জে দং-র সমতুল্য ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি হিসাবেই জিনপিংয়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করতে চিনের সংবিধানের বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সংবিধানে দুই প্রতিষ্ঠান ও দুই সুরক্ষাব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। শি জিনপিংয়ের পদকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি দলের নীতির মধ্যে তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারা মিলিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমাজতন্ত্রকে সময়োপযোগী করা এবং চিনের সংস্কৃতিকে আরও উচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করার কথা বলা হয়েছে কমিউনিস্ট পার্টির অধিবেশনে।

কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেস অধিবেশনে ২০৫ জন সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সেকেন্ড ইন কমান্ড লি কেকিয়াং। প্রভাবশালী নেতা ওয়াং ইয়াংকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে সূত্রের খবর। কমিউনিস্ট পার্টির এই নেতাদের সঙ্গে শি জিনপিংয়ের বিশেষ ভাব ছিল না বলেই জানা যায়। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২৫ সদস্যের পলিটব্য়ুরো নির্বাচিত করা হবে। এরমধ্যে ৭ সদস্যের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হবে।


অন্যদিকে, অধিবেশন শেষের অনুষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি চিনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও-কে। এ নিয়েও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কলকাঠি নেড়েই শি জিনপিং তাঁকে সরিয়ে দেন বলে সূত্রের খবর। তবে চিনা সংবাদ সংস্থার দাবি, অধিবেশনের শেষ লগ্নে অসুস্থ বোধ করেন হু জিনতাও। সেই কারণেই তাঁকে অধিবেশনের শেষ লগ্নে দেখা যায়নি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours