আদালত রেজিস্ট্রিকে অনভিপ্রেত মন্তব্য রেকর্ড থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। এবং ভবিষ্যতে যাতে কখনও এই ধরনের পিটিশন গ্রহণ না করা হয়,


সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Of India) এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এক পরিবেশবিদের দায়ের করা পিটিশন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। শীর্ষ আদালকতে পিটিশন দাখিল করে ওই ব্যক্তি তাঁকে দেশের রাষ্ট্রপতি করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। শুনানি চলাকালীন আবেদনকারী কিশোর জগন্নাথ সাওয়ান্তকে ভর্ৎসনা করেছে শীর্ষ আদালত।

কিশোরের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ, এই আবেদনকে ‘উদ্ভট’ বলে দাবি করেছে। যদিও শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই আবেদন ‘অনিচ্ছাকৃত’ এবং রেজিস্ট্রিকে এই ধরনের আবদেন গ্রহণ না করার নির্দেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, “এই আবদেনটি ভিত্তিহীন এব আদলতের বিচার প্রক্রিয়ার অপব্যবহার। কোনও দায়িত্ববোধ ছাড়াই আদালতে এই অভিযোগ করা হয়েছে এবং আদালতের রেকর্ড থেকে এগুলি মুছে ফেলা হয়েছে।”

আদালত রেজিস্ট্রিকে অনভিপ্রেত মন্তব্য রেকর্ড থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। এবং ভবিষ্যতে যাতে কখনও এই ধরনের পিটিশন গ্রহণ না করা হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারীর দাবি, তাঁকে সাম্প্রতিক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি আবেদনকারী কিশোর জানিয়েছেন, বিশ্বের যাবতীয় সমস্যাগুলির জন্য তিনি কাজ করবেন। এর পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান তাঁর জানা আছে বলেও জানিয়েছেন আবেদনকারী।



বিচারপতি চন্দ্রচূড় দেশের শীর্ষ সাংবিধানিক পদ নিয়ে এই আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আবেদনকারী কিশোরকে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন “আপনি ভারতের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে এই ধরনের অনভিপ্রেত অভিযোগ তুলছেন?” তবে আবেদনকারী বলেন, “আমার মনে হয় এই মামলাটি দেশের গণচতান্ত্রিক সংবিধানের মৌলিক নীতিকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করবে।” কিশোরের দাবি, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সরকারি নীতি ও পদ্ধতির বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। জবাবে শীর্ষ আদালত তাঁকে জানিয়েছে, কোনও ভিত্তিহীন পিটিশন দাখিল করার কোনও অধিকার তাঁর নেই, কারণ এতে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। তাঁকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার কথা বলেছে আদালত।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours