শরতের মরসুমে পদ্ম চাষ করে চাষিরা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেন। সেই টাকায় বাড়ির ছেলেমেয়েকে নতুন জামা কিনে দেন তাঁরা। বাড়ির বাকি সদস্যদের মুখেও হাসি ফোটান তাঁরা।

শরতে দেবী দুর্গার অকাল বোধন। আর সেই পুজোর উপাচারে ১০৮টি পদ্মফুল চাই-ই চাই। এবার সেই পদ্মের আকাল মালদহে। এই অবস্থা দেখে কপালে হাত পদ্ম চাষিদের। চিন্তিত পুজো উদ্যোক্তারাও। গত দু’ বছর করোনার কারণে নানা বিধিনিষেধ ছিল। ফলে এবার আবারও বাঁধভাঙা পুজোর আনন্দে মাততে চলেছে বঙ্গবাসী। কিন্তু দুর্গাপুজোর মূল উপকরণ পদ্মফুলই যে এ বছর ভালভাবে হচ্ছে না। জেলার দুই ব্লক হবিবপুর ও বামনগোলায় পদ্ম চাষিদের তাই মুখ ভার।



সারা বছর পদ্মের জোগান থাকলেও দুর্গাপুজোর সময় বাড়তি লাভের আশায় থাকেন চাষিরা। পুজোর আগেই এবার পদ্মফুলের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে বাজারে। কিন্তু এ বছর আবহাওয়ার কারণে মার খাচ্ছে পদ্ম চাষ। আবহাওয়ার পরিবর্তনে ভাদ্র মাসেও গ্রীষ্মের প্রখরতা। প্রচণ্ড দাবদাহ উত্তরের একাধিক জেলায়।

বর্ষাকালেও টানা বৃষ্টি পায়নি এ জেলা। তাই পদ্মচাষও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি পদ্মচাষিদের। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুরগুলিতে জল নেই। যার ফলে পদ্ম গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে অনেক পুকুরে পদ্ম চাষ সম্ভবই হচ্ছে না। যা চিন্তায় রাখছে চাষিদের।

শরতের মরসুমে পদ্ম চাষ করে চাষিরা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেন। সেই টাকায় বাড়ির ছেলেমেয়েকে নতুন জামা কিনে দেন তাঁরা। বাড়ির বাকি সদস্যদের মুখেও হাসি ফোটান তাঁরা। কিন্তু এবার কী হবে? পদ্ম না ফুটলে কী বিক্রি করবেন তাঁরা? আর কোনও টাকাতেই বা ঘরের ছোট ছোট মুখগুলোতে হাসি ফোটাবেন! চিন্তার কালো মেঘ পদ্মচাষিদের মনে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours