দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালে পশ্চিমাঞ্চলের মুখোমুখি হচ্ছে মধ্যাঞ্চল (Central Zone vs West Zone)। সেই ম্যাচেরই দ্বিতীয় দিনে মাঠে প্রবেশ করল অ্যাম্বুলেন্স। বোলার চিন্তন গজার (Chintan Gaja) অহেতুক থ্রোয়ে মাথার কাছে বল লাগায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন বেঙ্কটেশ আইয়ার (Venkatesh Iyer)। বেঙ্কটেশের অবস্থার গুরুত্ব বুঝেই সত্ত্বর মাঠে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে।

ছয় খেয়ে ক্ষোভ

এদিন আইয়ার মাঠে নেমে গজার বিরুদ্ধে ছক্কা হাঁকিয়েই নিজের খাতা খোলেন। কোনও ফাস্ট বোলারই ছক্কা খাওয়া পছন্দ করেননা। গজাও করেননি। পশ্চিমাঞ্চলের বোলাররে ছয় মারার ঠিক পরের বলেই আইয়ার বল ডিফেন্ড করায় তা সোজা চলে যায় গজার হাতে। ক্ষুব্ধ গজা বল হাতে পেয়েই তা সঙ্গে সঙ্গে আইয়ারের দিকে ছুড়ে মারেন। পশ্চিমাঞ্চলের বোলারের থ্রো উইকেটের আশেপাশেও ছিল না। তাঁর ছোড়া বল সোজা গিয়ে বেঙ্কটেশের মাথার কাছে লাগে। ব্যথায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তারকা অলরাউন্ডার। তাঁর এই পরিস্থিতি দেখে সকলেই তড়ঘড়ি বেঙ্কটেশের দিকে দৌড়ে যান। 

এই চোটের জেরেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তারকা অলরাউন্ডার। বেঙ্কটেশকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি কেউই। তাই সত্ত্বর অ্যাম্বুলেন্স মাঠে চলে আসে। বের করে আনা হয় স্ট্রেচারও। তবে খুশির খবর, কিছুটা সময় নিয়ে নিজেকে একটু সামলানোর পর বেঙ্কটেশ নিজের পায়ে হেঁটেই মাঠ ছাড়েন। ২৭ বছর বয়সি বেঙ্কটেশ সেই সময় মাঠ ছাড়লেও পড়ে আবার ব্যাট করতে নামেন। তবে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে ফিল্ডিং করতেও দেখা যায়নি। তাঁর বদলে অশোক মিনারিয়া মাঠে ফিল্ডিং করছিলেন


পৃথ্বীর দাপুটে শতরান

প্রসঙ্গত, বেঙ্কটেশের পাশাপাশি এদিন গোটা মধ্যাঞ্চলের ব্যাটিং লাইন আপই রান করতে ব্যর্থ হয়। পশ্চিমাঞ্চলের ২৫৭ রানের জবাবে মাত্র ১২৮ রানে গুটিয়ে যায় গোটা মধ্যাঞ্চল দল। ম্যাচের রাশ সম্পূর্ণ অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাঞ্চলের হাতে। তৃতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজের সময় পশ্চিমাঞ্চল পাঁচ উইকেটের বিনিয়ে ২৫৪ রান ইতিমধ্যেই তুলে ফেলেছে। পৃথ্বী শ ১০০-র অধিক স্ট্রাইক রেট নিয়ে ১৪২ রান করেন। তবে ব্যর্থ দুই নাইট রাহানে ও রিঙ্কু সিংহ। প্রথম ইনিংসে আট রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও মাত্র ১২ রানে আউট হন রাহানে। রিঙ্কুও প্রথম ইনিংসে মাত্র আট রানই করেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours