আনিস খান, সুদীপ্ত গুপ্ত, মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু, বেকারত্ব, দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে ফের রাজপথে বামেরা। ইনসাফ সভার ডাক SFI-DYFI-এর। মহানগরে আজ লাল মিছিল। আর সম্মুখে বামেদের তরুণ তুর্কিরা। আনিসের কাট আউট, মুখোশে হাঁটল একাধিক মিছিল। উপচে পড়া ভিড় নজরে পড়ল শিয়ালদা , হাওড়া স্টেশনে। জেলা জেলা এলেন সমর্থকরা। উঠল স্লোগান। বক্তা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। 

সেলিম ( Md Selim ) একযোগে আক্রমণ করলেন, তৃণমূল ও গেরুয়া শিবিরকে। বললেন, ‘আরএসএসকে (RSS ) নিয়ে আসতে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছে। ' সেলিমের হুঙ্কার , ‘বাংলায় লুঠেরাদের জায়গা নেই। বাংলার পুলিশকে বলছি রাস্তা বন্ধ করে মিছিল আটকানো যাবে না। 

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জাগ্রত জনতার সামনে পুলিশের ঢাল কাজ করবে না, দেখিয়েছে বর্ধমান। আজ আনিস খানের বাড়ির লোকেদের নামে এফআইআর করছে পুলিশ। তৃণমূল মানে টাকা মারা কোম্পানি’

বাম ছাত্র-যুবদের আজ স্লোগান, কাঁপাতে ১৪ তলা, চলো ধর্মতলা। বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। রাতে হাওড়া স্টেশনে তাঁদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয় সিপিএমের তরফে। 


ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যার (Anis Khan Murder case) বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার কলকাতার ধর্মতলায় ইনসাফ সভাউপলক্ষে সোমবার রাতে বিভিন্ন জেলা থেকে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই কর্মীরা কলকাতায় (Kolkata) আসতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই সেই ছবি শেয়ার করেছেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।

সোমবার রাতে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসে পুরুলিয়া থেকে কর্মীরা আসেন। এছাড়াও বীরভূম, বাঁকুড়া এবং অন্যান্য জেলা থেকেও বিভিন্ন ট্রেনে রাতে কর্মীরা হাওড়া স্টেশনে আসেন। হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) তাদের খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় সিপিএম-র হাওড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে। তাঁদের খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। অনেকে স্টেশনে রাত কাটালেও বেশ কিছু কর্মীদের পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত কাটিয়ে তারা সকালে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours