চলতি গেমসে তেজস্বীন শঙ্করের ব্রোঞ্জের পর এটি ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারতের দ্বিতীয় পদক হলেও, গেমসের ইতিহাসে এটিই লং জাম্পে ভারতের প্রথম রুপো জয়।

চলতি কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) হাই জাম্পে তেজস্বীন শঙ্কর ভারতকে ব্রোঞ্জ এনে দিয়েছিলেন। লং জাম্পে ভারতের ভাগ্যে এল রুপো, সৌজন্যে মুরলি শ্রীশঙ্কর (Murali Sreeshankar)। প্রতিযোগিতায় সেরা লাফ দিয়েও রুপোই জিতলেন ভারতীয় লং জাম্পার।  

লং জাম্পে প্রথম পদক 

বার্মিংহামে পুরুষদের লং জাম্প ফাইনালে নিজের সর্বকালের সেরা ৮.০৮ মিটার লাফ দিয়ে রুপো জেতেন মুরলি। জাতীয় রেকর্ডধারী শ্রীশঙ্করের শুরুটা খুব একটা আহামরি হয়নি। নিজের প্রথম প্রয়াসে ভারতীয় লং জাম্পার ৩১ সেমি পিছন থেকে লাফিয়ে মাত্র ৭.৬০ মিটার দূরত্বই অতিক্রম করতে পারেন। পরের দুই প্রয়াসে সামান্য উন্নতি ঘটিয়ে তা পৌঁছয় ৭.৮৪ মিটারে। নিজের চতুর্থ প্রয়াসে ফাউল করে বসেন ২৩ বছর বয়সি ভারতীয় লং জাম্পার। তবে অবশেষে নিজের পঞ্চম প্রয়াসে মুরলি প্রত্যাশামতো ৮ মিটারের গণ্ডি পার করেন। 


সেরা লাফ দিয়েও দ্বিতীয়

মুরলির ৮.০৮ মিটার লাফই ছিল সর্বোচ্চ, তাও তিনি রুপো পেলেন কেন? কারণ বাহামাসের লাকুয়ান নায়ারনও একই দূরত্ব অতিক্রম করেন। তবে দুই জাম্পারের দূরত্ব সমান হওয়ার ফলে পদকের রঙ তাদের দ্বিতীয় সেরা প্রয়াস অনুযায়ীই নির্ধারিত হয়। মুরলির দ্বিতীয় সেরা জাম্প যেখানে ৭.৮৪ মিটার ছিল, সেখানে বাহামাসের লং জাম্পার নিজের দ্বিতীয় সেরা প্রয়াসে ৭.৯৮ মিটার অতিক্রম করেছিলেন।

তাই লাকুয়ানই স্বর্ণপদক জিতে নেন। শ্রীশঙ্করকে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এটি কমনওয়েলথে তাঁর প্রথম পদক। দুর্দান্ত পারফর্ম করে অল্পের জন্য ভারতকে সোনা এনে দিতে না পারলেও, মুরলি দেশের হয়ে কমনওয়েলথ গেমসে ইতিহাস গড়ে ফেললেন। চলতি গেমসে তেজস্বীন শঙ্করের ব্রোঞ্জের পর এটি ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারতের দ্বিতীয় পদক হলেও, গেমসের ইতিহাসে এটিই লং জাম্পে ভারতের প্রথম রুপো জয়। মুরলির দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আরেক লং জাম্পার মহম্মদ আনিশও (Muhammed Anees) ভাল পারফর্ম করেছেন।

আনিশ নিজের সেরা লাফে ৭.৯৭ মিটার অতিক্রম করেন। তবে পোডিয়াম ফিনিশ করা হয়নি। পঞ্চম হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় আনিশকে। প্রসঙ্গত, কোয়ালিফায়িং পর্বে মুরলি ৮.০৫ মিটার লাফের সৌজন্যে এক নম্বরেই শেষ করেছিলেন। তিনিই একমাত্র জাম্পার হিসাবে ৮ মিটারের গণ্ডি পার করে সরাসরি ফাইনালে নামার যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছিলেন। সেখানে আনিশ সর্বোচ্চ ৭.৬৮ মিটার লাফ দিয়ে অষ্টম হয়ে ফাইনালে নামার ছাড়পত্র পান
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours