ডিসেম্বর (December) মাসে আলু বসানোর পর তিনদিনের বৃষ্টিতে (Rainfall) আলু জমিতে জল দাঁড়িয়ে যায়। যার ফলে বেশিরভাগ আলু পচে গিয়েছিল। ফের নতুন করে চাষ করেছিলেন অনেকেই। বৃষ্টিতে সেই আলু গাছ ফের নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan) জেলায় ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। তবে এবারে এখনও পর্যন্ত্ ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।
জেলার মেমারি,শক্তিগড়, জামালপুরে ব্যাপকভাবে আলু চাষ হয়। এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও শোষক পোকার আক্রমণে জেলার ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারপরেও ধার দেনা করে আলু চাষ করেছিলেন কৃষকরা। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সেই চাষ টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। অনেক জমিতে এখনও গাছ বের হয়নি। সেসব জমির আলু গাছ ফের নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। এই পরিস্থিতিতে সরকার পাশে না দাঁড়ালে সমস্যায় পড়বেন বলে দাবি কৃষকদের।
এদিকে অকাল বৃষ্টিতে রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন নদীয়ার কৃষকরা। ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা সবজি থেকে একাধিক শীতকালীন ফসলের। নদিয়ার একাধিক ব্লকের কৃষকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। কল্যাণী, হরিণঘাটা, চাকদা, রাণাঘাট, কৃষ্ণগঞ্জ সহ বেশ কিছু ব্লকে শীতকালীন সবজি ব্যাপক হারে চাষ হয়। তবে চলতি বছর নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষের। আর তাতেই ক্ষতির সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কল্যাণী ব্লকের কৃষকরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours