মহাকাশ দেখতে মায়াবী কিন্তু সে জগত্ প্রাণহীন। জীবিত কোনও বস্তু মহাকাশের অস্বাভাবিক ঠান্ডা এবং অক্সিজেনের অভাবে মারা পড়বে। জাপানি বৈজ্ঞানিকরা ইদুরের শুক্রাণু নিয়ে একটি পরীক্ষা করেছিলেন। ইদুরের শুক্রাণু মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। ছ' বছর পর তা ফেরত এনে দেখতে চেয়েছিলেন তা কী অবস্থায় আছে। অবাক কাণ্ড বললে কম বলা হবে, ছ' বছর মহাকাশে থাকা শুক্রাণ জন্ম দিয়েছে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যবান ইদুরের। তাদের শরীরে নেই কোনও জেনেটিক সমস্যা।
মহাকাশে ঠান্ডার পাশাপাশি কসমিক তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসার আশঙ্কা থেকে যায়। প্রাণের ক্ষেত্রে যা অতীব ক্ষতিকর। কিন্তু ইদুরের শুক্রাণুর কিছু হয়নি।
ওই শুক্রাণু থেকে জন্ম নিয়েছে ১৬৮টি ইদুরছানা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, এই গবেষণার তাত্পর্য কী। তাত্পর্য আছে। ইদুরের শুক্রাণু ছ' বছর মহাকাশে থেকে বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। এবার উত্সাহী বিজ্ঞানীরা মানব শুক্রাণু নিয়ে পরীক্ষা চালাতেই পারেন। যদি সাফল্য আসে, তবে বড় দূরত্বের মহাকাশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনার পথ খুলে দেবে। সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ তো বটেই, এমনকী এক গ্যালাক্সি থেকে অন্য গ্যালাক্সি যাওয়ার আশা উজ্জ্বল হবে। শুধু কসমিক রেডিয়েশন থেকে শুক্রাণুকে বাঁচানোর উপায় বের করতে হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours