করোনা পরবর্তী সময়ে রেলের যাত্রী সুরক্ষাকে ঢেলে সাজাতে চলেছে রেল মন্ত্রক। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, নতুনভাবে বিশেষ পদ্ধতিতে কিছু কোচ তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি নন এসি কামরা পিছু রেল ৩ লাখ টাকা ও এসি কামরা পিছু ৬ লাখ টাকা রেল মন্ত্রক বরাদ্দ করেছে।

কাপুরথালার রেল ফ্যাক্টরিতে রেলের এই বিশেষ দুটি কামরা তৈরি হচ্ছে। এই নতুন ব্যবস্থায় নতুন রকমের বেসিন, টয়লেট ফ্ল্যাশ, দরজার হাতলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে সংক্রমণ এড়ানোর জন্য। এছাড়াও টাইটানিয়াম অক্সাইডের কোটিং থাকছে প্রতিটি কোচের দেওয়ালে। এছাড়াও এসির বাতাসকে দূষণ মুক্ত রাখতে প্লাজমা এয়ার ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে।

রেল ফ্যাক্টরির জেনারেল্ ম্যানেজার রভিন্দর গুপ্ত জানিয়েছেন, “টাইটানিয়াম অক্সাইডের কোটিং দিতে কোচ পিছু ২.৫ লাখ টাকা লাগবে। প্লাজমা এয়ার সিস্টেম বসাতে প্রতি কোচে লাগবে ৩ থেকে ৩.৫ লাখ টাকা। বাকি যন্ত্রপাতির তেমন বিশেষ কোনও খরচা নেই। সব মিলিয়ে নন এসি কোচের জন্য ২.৫ থেকে ৩ লাখ এবং এসি কোচের জন্য ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগবে।“

জেনারেল ম্যানেজার রবিন্দর গুপ্ত আরও জানিয়েছেন, “আমরা বিভিন্ন ধরনের রিসার্চ করছি। কিভাবে কম পয়সা বিনিয়োগ করেও ভাল এবং উন্নত মানের যন্ত্রপাতি মানুষের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা যায় তাই নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।“ আপাতত এই নতুন করে তৈরি হওয়া কামরাগুলি উত্তর-পশ্চিম রেলের দপ্তরে আছে। রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে যে কোচগুলিকে শেষ অবধি কোন রুটে ব্যবহার করা হবে।

রেলের তরফ থেকে নতুন ভাবে নির্মিত কোচটির বিভিন্ন গুনাবলি একজায়গায় করে একটি হ্যান্ডবুক তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও টাইটানিয়াম অক্সাইডের কোটিং দিয়ে বানানো দরজা জানলার হাতল এই কোচগুলির অন্যতম অভিনবত্ব। এই প্রসঙ্গে ম্যানেজার গুপ্ত জানিয়েছেন, “ এই কোটিং ইকো ফ্রেন্ডলি এবং যে কোনও ধরনের ভাইরাস মেরে ফেলতে সক্ষম।“ এই কোটিং ১২ মাস অবধি থাকবে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours