লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ হওয়ার পর ২ দিনের জন্য আধ্যাত্মিক যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোটের প্রচারের শেষে এবং ফল প্রকাশের আগে, এর আগেও প্রধানমন্ত্রীকে আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানে যেতে দেখা গিয়েছে। ২০১৯-এ গিয়েছিলেন কেদারনাথে। এবার কোথায় ধ্যানে বসবেন তিনি?

দেবী পার্বতী-বিবেকানন্দর পর এবার এখানে তপস্যা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
দেবী পার্বতী এবং বিবেকানন্দের স্মৃতি বিজড়িত পাথরেই ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী



হিন্দুদের একাংশের বিশ্বাস এই পাথরের উপর এক পায়ে দাঁড়িয়ে, ভগবান শিবের জন্য তপস্যা করেছিলেন দেবী কন্যাকুমারী বা পার্বতী। ১৮৯২ সালে এই একই পাথরের উপর বসে তিনদিনের জন্য তপস্যা করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দও। এবার এই ধর্মীয় তাৎপর্যপূর্ণ পাথরে ২৪ ঘণ্টার জন্য ধ্যানে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


২ দিনের জন্য রাজনীতি থেকে ছুটি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রচার শেষে ২ দিনের জন্য ডুব দেবেন আধ্যাত্মিক জহতে। এটা কোনও নতুন বিষয় নয়। লোকসভা ভোটের প্রচারের শেষে এবং ফল প্রকাশের আগে, এর আগেও প্রধানমন্ত্রীকে আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানে যেতে দেখা গিয়েছে। ২০১৪ সালে তিনি গিয়েছিলেন শিবাজীর প্রতাপগড়ে। ২০১৯-এ তাঁকে কেদারনাথের এক গুহায় ধ্যান করতে দেখা গিয়েছিল। আর এবার তিনি ধ্যান করবেন তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে।

৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ হবে। তার আগে, ১ জুন লোকসভা ভোটের সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ। তার আগের দিন প্রচার শেষ হয়ে যাবে। প্রচার শেষ এবং ফল প্রকাশের মধ্যে, ৩০ মে সন্ধ্যা থেকে ১ জুন সন্ধ্যা কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যান করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।


মূল ভূখণ্ড ৫০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের মধ্যে অবস্থিত এই বিশেষ পাথরটি। এর গায়ে একটি ছোট ছাপ রয়েছে। হিন্দুদের একাংশের মতে, ওই ছাপ আসলে দেবী পার্বতীর পায়ের ছাপ। এছাড়া গোটা ভারত পরিভ্রমণের পর, ১৮৯২ সালে কন্যাকুমারীতে। পৌঁছেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। অনেকের বিশ্বাস, এখানেই বোধি লাভ করেছিলেন বিবেকানন্দ। উন্নত ভারত গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। গৌতম বুদ্ধের জীবনে সারনাথের যেমন একটা বিশেষ স্থান ছিল, স্বামী বিবেকানন্দের জীবনে এই পাথরটির স্থানও একই রকম বলে মনে করা হয়। একই জায়গায় স্বামীজির বিকশিত ভারতের স্বপ্নকে পূর্ণ করার লক্ষ্যে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের মিলনস্থল এই স্থান। ভারতের দক্ষিণতম এই স্থানে মিশেছে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলও। তাই মনে করা হচ্ছে, ধর্মীয় তাৎপর্যের পাশাপাশি, এই স্থানে ধ্যানে বসে জাতীয় ঐক্যের বার্তাও দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours