সম্প্রতিই ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca) জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিনে কিছু বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। জমাট বাঁধতে পারে রক্ত। এরপরই অনেকের রাতের ঘুম উড়েছে, কারণ ভারতে এই সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েই ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল সেরাম ইন্সটিটিউট।

কোভিশিল্ড নেওয়ায় এখন ভয়ে রাতের ঘুম উড়েছে? যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর রইল আপনার জন্য
প্রতীকী চিত্র

 করোনাকালের কথা মনে আছে? কী কঠিন দিন দেখতে হয়েছে বিশ্ব জুড়ে সমস্ত মানুষকে। করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হন কয়েকশো কোটিরও বেশি মানুষ। সংক্রমণ প্রাণ কাড়ে কয়েক কোটি মানুষের। সেই সময় সংক্রমণ থেকে বাঁচতেই তৈরি করা হয়েছিল কোভিড ভ্যাকসিন। ভারত নজির গড়েছিল অন্যান্য দেশগুলির আগেই ভ্যাকসিন তৈরি করে। টিকাকরণেও রেকর্ড গড়ে দেশ। যাই হোক, এখন বিদায় নিয়েছে করোনা। তবু করোনাকে ঘিরে উদ্বেগ কমছে না। এবার চিন্তা বাড়িয়েছে করোনা টিকা। সম্প্রতিই ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca) জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিনে কিছু বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। জমাট বাঁধতে পারে রক্ত। এরপরই অনেকের রাতের ঘুম উড়েছে, কারণ ভারতে এই সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েই ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল সেরাম ইন্সটিটিউট। এবার যারা এই সেরাম ইন্সটিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের মনে উঠছে নানা প্রশ্ন।


সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ১৭৫ কোটিরও বেশি মানুষ কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাহলে সবারই কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে? কী-ই বা হবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়? এই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার স্বীকারোক্তির পর, মানুষের মনে সবথেকে বড় যে প্রশ্নটি জেগেছে, তা হচ্ছে প্রতিদিন যে বহু মানুষের নীরবে হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে, তার কারণ কি এই ভ্যাকসিন? কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন কি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এর কোনও শক্তিশালী প্রমাণ নেই। এটি এখনও গবেষণার বিষয়।


দেশের মানুষকে কোভিশিল্ডের ১৭৫ কোটিরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় প্রশ্ন হল, যারা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের কি সত্যিই চিন্তা করার দরকার আছে? এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০ লাখের মধ্যে একজনের ভ্যাকসিনের কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার মানে বড় সংখ্যক জনগণ ভ্যাকসিন দ্বারা সুরক্ষিত হয়েছেন। এমনকি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটলেও, সেগুলি খুবই বিরল ক্ষেত্রে।

অনেকেরই মনে প্রশ্ন, কোভিশিল্ডের এখনও কি কারোর শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সর্বোচ্চ ৬ মাস পর স্পষ্ট হয়ে যায়। ভ্যাকসিন পাওয়ার দুই-আড়াই বছর কেটে গিয়েছে, এতদিনে যখন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, তাই এখনও কোনও ঝুঁকি নেই।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours