কেকেআরের প্রতি গৌতম গম্ভীরের ভালোবাসা কারও অজানা নয়। প্রাক্তন নাইট নেতা এখন দলের মেন্টর। তাঁর নেতৃত্বে জোড়া আইপিএল ট্রফি নাইট শিবিরে এসেছিল। তারপর থেকে প্রতিবার কেকেআর খালি হাতে আইপিএলের আসর থেকে ফিরেছে। এ বার সেই শূন্যতা খুশিতে বদলে দিতে চান গম্ভীর। শ্রেয়স আর গম্ভীর অবশ্য আগে থেকেই এক সূত্রে বাঁধা। যে কারণে এ বার গম্ভীরের হাতে রয়েছে শ্রেয়সের ভাগ্য।
সেই গম্ভীরের হাতেই এ বার ভাগ্যের চাবিকাঠি শ্রেয়সের
চাকা ঘুরল ভাগ্যের, সেই গম্ভীরের হাতেই এ বার চাবিকাঠি শ্রেয়সের
মগজাস্ত্র কাজে লাগিয়ে কেকেআর কি পারবে তৃতীয় আইপিএল ট্রফি জিততে? ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) প্রবল ভাবে কেকেআরকে আইপিএল জেতাতে চান। এ বার শুধু গম্ভীর ও শ্রেয়সের যুগলবন্দি হিট হওয়ার পালা। আইপিএলে (IPL) নাইটদের জয়ের সফর দেখতে চান কেকেআরের অনুরাগীরা। নাইট প্রেমীদের মুখে মুখে এখন ঘুরছে তৃতীয় ট্রফির কথা। কেকেআরের প্রতি গৌতম গম্ভীরের ভালোবাসা কারও অজানা নয়। প্রাক্তন নাইট নেতা এখন দলের মেন্টর। তাঁর নেতৃত্বে জোড়া আইপিএল ট্রফি নাইট শিবিরে এসেছিল। তারপর থেকে প্রতিবার কেকেআর খালি হাতে আইপিএলের আসর থেকে ফিরেছে। এ বার সেই শূন্যতা খুশিতে বদলে দিতে চান গম্ভীর। শ্রেয়স আর গম্ভীর অবশ্য আগে থেকেই এক সূত্রে বাঁধা। যে কারণে এ বার গম্ভীরের হাতে রয়েছে শ্রেয়সের ভাগ্য।
বর্তমানে গৌতম ও শ্রেয়স দু’জনই নাইট টিমের সদস্য। এক সময় তাঁরা দু’জনই ছিলেন আইপিএলে দিল্লি টিমের সদস্য। গম্ভীর একসময় শ্রেয়সের হাতে দিল্লির ক্যাপ্টন্সির ব্যাটন তুলে দেন। এ বার তাঁরা ফের একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন। শ্রেয়স বর্তমানে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ঠিকই, কিন্তু গম্ভীর যখন টিমে রয়েছেন, তাঁর সিদ্ধান্ত যে প্রাধান্য পাবেই এ কথা কারও অজানা নয়। গম্ভীরের ছোঁয়ায় ইতিমধ্যেই কেকেআর আবার ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছে। ১০ বছর পর কেকেআরের আইপিএল ট্রফির খরা কি কাটবে?
গৌতম গম্ভীর আর শ্রেয়স আইয়ারের একটা বিরাট মিল হয়তো ক্রিকেট প্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল অবধি প্রথমে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস টিমে ছিলেন গৌতম। এরপর ২০১১ সালে কেকেআর তাঁকে কেনে। এবং ক্যাপ্টেন ঘোষণা করে। ২০১৭ সাল অবধি কেকেআরের জার্সিতে খেলেছেন গৌতি। এরপর ২০১৮ সালের আইপিএলের নিলামে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ২.৮ কোটি টাকায় আবার কেনে গৌতমকে। তিনি চেয়েছিলেন যে টিমের হয়ে আইপিএল সফর শুরু করেছেন, সেই টিমেই আইপিএল সফর শেষ করতে। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে শেষের দিকে গৌতমের পারফরম্যান্স নিয়েও প্রবল সমালোচনা চলছিল। ওই পরিস্থিতিতে শ্রেয়সকে ক্যাপ্টেন বানানোর পর ২০১৯ সালে প্রথম বার আইপিএলের প্লে অফে খেলেছিল দিল্লি। এরপর শ্রেয়সের নেতৃত্বে ২০২০ সালের আইপিএল ফাইনালেও খেলে দিল্লি ক্যাপিটালস। তারপর ২০২২ সালে শ্রেয়স কেকেআরের ক্যাপ্টেন হন।
বর্তমানে শ্রেয়সকে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে আলোচনার অন্ত নেই। তিনি বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ পড়ার পর আরও বেশি করে তাঁকে নিয়ে চর্চা চলছে। এমনও বলা হচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় টিমের প্ল্যানিংয়ে তিনি আর নেই। রঞ্জি ফাইনালে ৯৫ রান করেছেন ঠিকই, তা ছাড়া কিন্তু সম্প্রতি সেই ছন্দে তাঁকে দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে যদি আইপিএলে অনবদ্য কিছু করে দেখাতে পারেন শ্রেয়স, তা হলে হয়তো আবার তাঁর জন্য জাতীয় দলের দরজা খুলতে পারে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours